ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ফাইভজি-তে টেলিটকের সহযোগী হুয়াওয়ে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২১
ফাইভজি-তে টেলিটকের সহযোগী হুয়াওয়ে

ঢাকা: বাংলাদেশে ফাইভ জি চালু করতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টেলিকম অপারেটর টেলিটক বাংলাদেশে লিমিটেড সহযোগী হিসেবে নির্বাচন করেছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আইসিটি অবকাঠামো ও সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়েকে।

রোববার (১২) ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বাংলাদেশে ফাইভ জি চালু করা হবে এবং এ নেটওয়ার্ক স্থাপনে হুয়াওয়ে বাংলাদেশ টেলিটককে অবকাঠামো ও প্রযুক্তিগত সহায়তা করবে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে টেলিটকের মাধ্যমে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ধানমন্ডি-৩২, বাংলাদেশ সচিবালয়, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এবং ঢাকার বাইরে সাভার ও টুঙ্গিপাড়ায় এ সেবা চালু হবে।

হুয়াওয়ে উচ্চমানের চিপ সেট, অ্যালগরিদম এবং পণ্যের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে ফাইভ জি প্রযুক্তিতে শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে। ফাইভ জি প্রযুক্তি সেবাদানের বিষয়ে এ বছরের অক্টোবর মাসে টেলিটকের সঙ্গে হুয়াওয়ে একটি চুক্তি করে। চুক্তির অধীনে, হুয়াওয়ে বাংলাদেশে ফাইভ জি প্রযুক্তি চালু করার ক্ষেত্রে টেলিটককে বিশ্বমানের সেবা প্রদান করবে।

হুয়াওয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ২০১২ সাল থেকে গবেষণার ও উন্নয়নের মাধ্যমে অত্যন্ত কার্যকরী হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার অ্যালগরিদম তৈরি করেছে, যা অপারেশনের ব্যয় কমানোর পাশাপাশি দ্রুতগতির ফাইভ জি প্রযুক্তি প্রদানে সক্ষম। বাংলাদেশে ফাইভ জি চালু করার ক্ষেত্রে হুয়াওয়ে টেলিটককে তার উচ্চমানের RAN ইউনিট প্রদান করবে। এর মধ্যে AAU (অ্যাকটিভ অ্যান্টেনা ইউনিট), যা ফাইভ জি যুগে টেলিটক নেটওয়ার্কের কার্যকারিতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে। হুয়াওয়ের 64T64R MIMO AAU প্রযুক্তির একটি কার্যকারিতা হল এটি বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ব্যবহারের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি সাইটে বিদ্যুতের ব্যবহার কমাবে এবং দমকা হাওয়ার চাপেও নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করবে।

এরই মধ্যে ঢাকা শহরের বিভিন্ন সাইটে হুয়াওয়ে ও টেলিটকের যৌথ পরীক্ষায় ব্যবহারকারীদের জন্য এক দশমিক পাঁচ জিবিপিএস পিক ইন্টারনেট গতি এবং ৭-১০ মিলি সেকেন্ড ল্যাটেন্সির মতো দারুণ ফলাফল পাওয়া গেছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে শিল্পের ডিজিটালাইজেশন ত্বরান্বিতকরণ এবং ব্যক্তিগত ব্যবহারকারীদের জন্য এ গতিকে কাজে আরও অনেক সুযোগ তৈরি করা সম্ভব হবে।

হুয়াওয়ে বাংলাদেশের চিফ টেকনিক্যাল অফিসার কেভিন স্যু বলেন, ফোর জি মানুষের জীবন বদলে দিয়েছে, ফাইভ জি বদলে দেবে সমাজ। সেই যাত্রার অংশ হতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। বাংলাদেশে ফাইভ জি নেটওয়ার্কের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরি করতে আমরা টেলিটকের সঙ্গে অংশ নিয়েছি। প্রাথমিকভাবে আমরা টেলিটকের এ প্রথম ফাইভ জি সাইটগুলোর মধ্যে ৬৫ শতাংশেরও বেশি সাইটে আমরা প্রযুক্তি প্রদান করছি। একটি সম্পূর্ণভাবে কানেক্টেড ও ইন্টেলিজেন্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশে হুয়াওয়ে রয়েছে এবং আমরা দায়িত্বের সঙ্গে এ অগ্রযাত্রায় অংশগ্রহণ করে যাব।

২০০৯ সাল থেকে ফাইভ জির গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ করছে হুয়াওয়ে। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে ফাইভ জি পণ্য উন্নয়নে প্রায় এক দশমিক চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০২০ সালে হুয়াওয়ে মাইনিং, উৎপাদন, সমুদ্র বন্দসহ বিভিন্ন খাতে পাঁচ হাজারের বেশি ফাইভ জি টেস্ট পরিচালনা করেছে এবং এক হাজারের বেশি বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।  

হুয়াওয়ে বর্তমানে বিশ্বজুড়ে মোট ৭০০ টেলিকম অপারেটরের সঙ্গে কাজ করছে এবং হুয়াওয়ের সহায়তায় ১৮৪টি অপারেটরের মধ্যে ৮৪টি অপারেটর ফাইভ জি সেবা উন্মোচন করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২১
এমআইএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।