ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

‘ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার ২০২১’ পেয়েছে গ্রামীণফোন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২১
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার ২০২১’ পেয়েছে গ্রামীণফোন

ঢাকা: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতিষ্ঠান শ্রেণিতে সম্মানজনক জাতীয় ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার ২০২১’ পেয়েছে গ্রামীণফোন।

রোববার (১২ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০২১’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে টেক সার্ভিস লিডার ও ডিজিটাল বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি পার্টনার গ্রামীণফোনকে এ পুরস্কার প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে উপস্থিত থেকে আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের মাধ্যমে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমানকে পুরস্কার প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোন থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির হেড অব কমিউনিকেশনস খায়রুল বাশার; হেড অব ইয়ুথ, স্কিলস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট ফারহানা ইসলাম; ইনোভেশন, ডিজিটাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজির লিড স্পেশালিস্ট সোহেল রানা।

গ্রামীণফোন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, চলতি বছর আমরা আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি। দেশে চলমান ডিজিটাল বিপ্লবের মাধ্যমে ৫০ বছরের এ পথচলায় আমরা উল্লেখযোগ্য মাইলফলক অর্জন করতে পেরেছি। এ অর্জনসমূহকে ধরে রাখতে এবং একটি স্ব-নির্ভর এবং জ্ঞান-ভিত্তিক অর্থনীতি তৈরির মাধ্যমে আমাদের লক্ষ্য অর্জনের সম্ভাবনা উন্মোচনের জন্য ডিজিটালাইজেশনকে কাজে লাগাতে হবে এবং ডেমোগ্র্যাফিক ডিভিডেন্ডের সুবিধা নিতে হবে। এজন্য, সামাজিক প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে, আমরা দেশের তরুণদের ভবিষ্যতে দেশকে নেতৃত্ব দেবার দক্ষতা বৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার দিয়ে কৌশল গ্রহণ করেছি; একইসঙ্গে ইউএনডিপি’র সাথে ’ফিউচার ন্যাশন’ এবং জিপি অ্যাকসেলেরেটর’র পৃষ্ঠপোষকতায় এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ও স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর মাধ্যমে অন্যান্য দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে গ্রামীণফোন যা একটি ইকোসিস্টেম তৈরির মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সম্ভাবনাকে উন্মোচন করবে।

একটি উন্নত আগামী বাংলাদেশ নিশ্চিত করতে তরুণদের আপস্কিলিং করার ক্ষেত্রে গ্রামীণফোনের প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতিদানের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান।

তিনি বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশের যাত্রায় আমাদের অবদানকে স্বীকৃতি জানানোর জন্য আমি আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এ পুরস্কার পেয়ে আমি সম্মানিত বোধ করছি। সমাজের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি এবং জাতির ক্ষমতায়নে কথা পুনর্ব্যক্ত করে আমি বলতে চাই, গ্রামীণফোন তরুণদের প্রাধান্য দিয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করাতে বিশ্বাস করে। ফিউচার নেশন ও জিপি অ্যাকসেলেরেটরের মতো পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে তরুণদের আপস্কিল ও রিস্কিল করে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সম্ভাবনাকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে পরিণত করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুযোগ উন্মোচনে বিশ্বাস করে গ্রামীণফোন। ডিজিটালাইজেশনের এ যুগে সামনে এগিয়ে আসা এবং অবশ্যম্ভাবী পরিবর্তনের অংশ হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এবং এ ধরনের স্বীকৃতি বাংলাদেশের ক্ষমতায়নে একসাথে আমাদের তরুণদের ভবিষ্যৎ উপযোগী দক্ষতায় প্রস্তুত করে তুলতে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞান-ভিত্তিক উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার যাত্রায় এগিয়ে যেতে আমাদের গভীরভাবে উৎসাহিত এবং অনুপ্রাণিত করবে।

বাংলাদেশ সময়: ০২৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২১
এমআইএইচ/জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।