ঢাকা: তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বাংলাদেশের মানবসম্পদকে অপার সম্ভাবনাময় হিসেবে বিবেচনা করছে সুইডেন। এই মানবসম্পদকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে সুইডেন ও বাংলাদেশ উভয় দেশই উপকৃত হতে পারে।
সুইডিশ রাষ্ট্রদূত কয়েক বছরে প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রগতির প্রশংসা করেন এবং বিদেশে এর সাফল্যের গল্প প্রচারের পরামর্শ দেন। তিনি প্রত্যাশা করেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বেসরকারি খাতের মধ্যে সহযোগিতা উভয় দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সুরক্ষিত করবে।
বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ দুই দেশের খাত সংশ্লিষ্ঠদের মধ্যে একাধিক বৈঠকের কথা তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশ কীভাবে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কেন্দ্রস্থল হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছে সেই অভিজ্ঞতা নিতে বেসিস সফটএক্সপো ২০২২-এ যোগদানের জন্য সুইডিশ প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানান।
বৈঠকে রাসেল টি আহমেদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্যপ্রযুক্তিকে ২০২২ সালের ‘বর্ষপণ্য’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেসিস ভবিষ্যত উপযোগী মানবসম্পদ তৈরি, স্থানীয় শিল্পের বিকাশ, বিদেশি বাজার সম্প্রসারণ, পুঁজি ও আর্থিক প্রণোদনা সুবিধা বৃদ্ধি, স্টার্টআপের জন্য একটি সমৃদ্ধ ইকোসিস্টেম তৈরি করা, ইনট্যাঞ্জিবল অ্যাসেট বৃদ্ধিতে সহায়তার জন্য নীতি প্রণয়ন এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রচার এই সাতটি স্তম্ভের উপর ফোকাস করে আইসিটি শিল্পের উৎকর্ষ সাধনের জন্য কাজ শুরু করেছে।
সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে তাঁর দেশে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্র্যান্ডিংয়ের কথা জানান। বেসিস সভাপতির আহ্বানে সুইডেনের তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তারা বেসিস সফটএক্সপো ২০২২-এ যোগদানের জন্য আগ্রহী হবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সুইডেন দূতাবাসের রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিষয়ক ফার্স্ট সেক্রেটারি আনা সোয়ানটেসন, বেসিস পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল এবং বেসিস যুগ্ম সচিব (রিসার্চ ফেলো) এনামুল হাফিজ লতিফী।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২২
এসআইএস