প্রায় ৩০০ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারী আছে সারা বিশ্বে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি মানুষের পছন্দের শীর্ষে ওঠার পেছনে যিনি কাজ করেছেন গেছেন, তার নাম মার্ক জাকারবার্গ।
এ কথা সাধারণ কোনো মানুষের নয়। বলেছেন হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের সিনিয়র ফেলো বিল জর্জ। তিনি মেডিকেল প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মেডট্রোনিকের একজন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবেও একসময় কাজ করেছেন। জর্জের দাবি, ফেসবুকের অধঃপতনের কারণ জাকারবার্গের অদক্ষ নেতৃত্ব। সিইও হয়েও তিনি দিন দিন ফেসবুককে আসল পথ থেকে অন্য দিকে নিয়ে যাচ্ছেন।
জর্জ এসব কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনবিসিকে। তার ভাষ্য, জাকারবার্গ যতদিন আছেন, ফেসবুক ভালো কিছু করতে পারবে না। মাধ্যমটিকে মানুষ দূরে সরিয়ে দেবে। সত্য বলতে পথ হারিয়েছেন জাকারবার্গ।
গত ২০ বছর ধরে অনেক হাই-প্রোফাইল কর্পোরেট নেতাদের নেতৃত্বদানে ব্যর্থতার বিষয় নিয়ে গবেষণা করছেন বিল জর্জ। এ থেকেই তার উপলব্ধি মার্ক জাকারবার্গ ও তার প্রতিষ্ঠান মেটা সে পথে রয়েছে।
সম্প্রতি ট্রু নর্থ: লিডিং অথেনটিক্যালি ইন টুডে’স ওয়ার্কপ্লেস, এমার্জিং লিডার এডিশন নামে একটি বই প্রকাশ করেছেন জর্জ। এ বইয়েও প্রতিষ্ঠান মালিক বা সিইওদের টাকা-ক্ষমতা, মূল্যবোধ ও নেতা হওয়ার উদ্দেশ্য ভুলে যাওয়ার ব্যাপারে লিখেছেন তিনি।
জাকারবার্গ কীভাবে ফেসবুককে পতনের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন, সিএনবিসিকে সে কথাও বলেছেন জর্জ। তার মতে, পতনের অন্যমত কারণ জাকারবার্গ অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপান। তিনি নিজের ভুল স্বীকার করেন না। ভুল থেকে শিক্ষাও নেন না।
জাকার্বাগ অন্য কারও উপদেশ নেন না। তিনি একাই সবকিছু করতে চান। কারও সাথে সম্পর্কও গড়েন না ফেসবুকের সিইও। কেউ আগ্রহী হলে তাকে দূরে সরিয়ে দেন।
তৃতীয় কারণ হিসেবে জর্জ বলেন, জাকারবার্গ শুধু খ্যাতি-সম্পদ চান। এর পেছনেই ছুটছেন। জাকারবার্গ মেটার প্রসার ও লাভের দিকেই শুধু গুরুত্ব দিয়েছেন। কোটি কোটি ব্যবহারকারীর স্বার্থের বিনিময়ে হলেও তিনি এটি করেছেন। জাকারবার্গ তার প্রতিষ্ঠানের আয়, সম্পদ লাভ ছাড়া কিছু বোঝেন না বলেও মন্তব্য করেছেন জর্জ।
এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত মার্ক জাকারবার্গ কোনো মন্তব্য করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২
এমজে