ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ইস্যুতে গত নভেম্বরে আকাশসীমার সুরক্ষায় পোল্যান্ডকে এমআইএম-১০৪ প্যাট্রিয়ট সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিল জার্মানি।
এ প্রস্তাবে সাড়া দিলেও ওই ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা তার দেশে না পাঠিয়ে ইউক্রেনে পাঠাতে জার্মানিকে অনুরোধ করে পোল্যান্ড।
এতে নাখোশ হয় পোল্যান্ড। সম্প্রতি পোলিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী মারিউস ব্লাসজ্যাক বলেন, জার্মানি সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমরা মর্মাহত। পোল্যান্ড এখন থেকে নিজেদের কমান্ড সিস্টেমে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা যুক্ত করার জন্য কাজ করবে বলেও জানান তিনি।
সেই প্রেক্ষিতে এবার জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা জানালেন, কেন পোল্যান্ডের সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল জার্মানি।
শনিবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই ব্যাখ্যা দেন টোবিয়াস লিন্ডনা নামের ওই কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, এমআইএম-১০৪ প্যাট্রিয়ট মিসাইল সিস্টেম ন্যাটো জোটের সম্মিলিত প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। গত নভেম্বরে পোল্যান্ডের ভূখণ্ডে একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দুজন নিহত হন। তাই ন্যাটোর পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পাঠিয়ে পোল্যান্ডের নিরাপত্তা জোরদার করার প্রস্তাব দিয়েছে জার্মানি। কিন্তু ইউক্রেন আমাদের তৃতীয় পক্ষ। তারা তো ন্যাটোর সদস্যরাষ্ট্র নয়। তাই হুট করেই এই প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া যায় না। এ সিদ্ধান্ত একা একা নেওয়ার এখতিয়ার জার্মানির নেই।
একই রকম ব্যাখ্যা এর আগে দিয়েছিলেন জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টিন ল্যামব্রেখট।
নভেম্বরেই তিনি বলেছিলেন, প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ন্যাটো জোটের আওতাধীন এলাকায় মোতায়েন করতে হবে। এর বাইরে এ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করতে হলে আগে জোট ও মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২২
এসএএইচ