ব্যাংকিং প্রবিধানে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য সরকার। ধারণা করা হচ্ছে, এই পরিবর্তনের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন আরও সহজ হবে।
দেশটির সরকার ঘোষণা দিয়েছে, ব্যাংকিং প্রবিধানে ৩০টির বেশি সংস্কার আনা হবে, যা গত ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এতে আমলান্ত্রিক জটিলতা কমবে। একইসঙ্গে প্রবৃদ্ধির অস্বাভাবিক গতিও হ্রাস পাবে।
এক্ষেত্রে যেসব নিয়মকানুন রিটেইল ব্যাংকিংকে ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ ক্রিয়াকলাপ থেকে আইনিভাবে আলাদা করতে বাধ্য করেছে তাও পর্যালোচনা করা হবে। এসব প্রবিধান ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটে যখন কিছু ব্যাংক পতনের মুখে পড়েছিল তখন চালু করা হয়েছিল।
যুক্তরাজ্যের ব্যাংকিং প্রবিধানে এই বড় পরিবর্তনের প্যাকেজটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘এডিনবার্গ রিফর্মস’। এটিকে ব্রেক্সিট-পরবর্তীকালের জন্য যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির চাহিদা ও শক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য করার ত্রাতা মনে করা হচ্ছে।
তবে সমালোচকরা বলছেন, এটি করা হলে যুক্তরাজ্য বিগত বছরগুলোর আর্থিক সংকট থেকে যে শিক্ষা নিয়েছিল তা ভুলে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
জানা গেছে, ২০০৭ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্যের তৎকালীন ক্ষমতাসীন লেবার সরকার ব্যাংগুলোকে ১৩৭ বিলিয়ন পাউন্ডের ‘বেইল আউট’ তথা আর্থিক সহায়তা দিয়েছিল।
অফিস ফর বাজেট রেসপনসিবিলিটির সর্বশেষ তথ্যানুসারে, সামগ্রিকভাবে করদাতারা ওই বেল আউটগুলোর ৩৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন হারিয়েছেন।
আর্থিক পরিসেবায় প্রবিধানগুলো সহজ করার এ পরিকল্পনাকে আরেকটি ‘বিগ ব্যাং’ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। এর আগে ১৯৮৬ সালে মার্গারেট থ্যাচার নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে এ ধরনের বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২২
এমএইচএস