করোনাভাইরাসের নতুন ঢেউয়ের উদ্বেগের মধ্যে চীনের হাসপাতালগুলো মনে হয় রোগীতে পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে- এমনটি বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
ডব্লিউএইচওর কর্মকর্তা ডা. মাইকেল রায়ান বলেন, নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলো (আইসিইউ) ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
চীনে করোনার পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বুধবার এই ভাইরাসে কারো মৃত্যু হয়নি। তবে এই রোগের প্রকৃত প্রভাব নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
করোনার সাম্প্রতিক ঢেউয়ে গত কয়েকদিন ধরে বেইজিংসহ অন্যান্য শহরের হাসপাতালগুলোতে রোগীদের ভিড় দেখা যাচ্ছে।
২০২০ সাল থেকেই করোনার বিরুদ্ধে চীনের শক্ত অবস্থান ছিল। এর অংশ হিসেবে দেশটিতে শূন্য কোভিড নীতি বজায় ছিল।
কিন্তু সম্প্রতি এই শক্ত অবস্থানের বিরুদ্ধে দেশটিতে ব্যাপক আন্দোলন হয়। এতে করে সরকার শক্ত অবস্থান থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়।
এরপর থেকেই শনাক্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে। সংক্রমণ বাড়ার পর থেকে বৃদ্ধদের উচ্চ মৃত্যুহারের শঙ্কা তৈরি হয়।
সংক্রমণের এই পরিস্থিতিতে সরকারি হিসাব বলছে, মঙ্গলবার মাত্র পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার মারা যান দুজন।
ডব্লিউএইচওর জরুরি ব্যবস্থার প্রধান ডা. রায়ান ভাইরাসটির সাম্প্রতিক বিস্তারের বিষয়ে আরও তথ্য দিতে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রতিবেদনে দেখানো হচ্ছে আইসিইউইয়ে রোগীর সংখ্যা কম। তবে বলা হচ্ছে আইসিইউ পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আমরা বলে আসছি, শুধুমাত্র জনস্বাস্থ্য ও সামাজিক পদক্ষেপের মাধ্যমে এই উচ্চ সংক্রামক ভাইরাসটিকে পুরোপুরি থামানো বেশ কঠিন।
জেনেভায় সাপ্তাহিক এক সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস বলেন, চীনে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বেশ উদ্বিগ্ন।
রোগের তীব্রতা, হাসপাতালে ভর্তি এবং নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের প্রয়োজনীয় উপাদানের সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ডা. রায়ান বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে বের হওয়ার কৌশল হলো টিকাদান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২২
আরএইচ