সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি’র আরও সাত বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। দুর্নীতির দায়ে সু চিকে দোষী সাব্যস্ত করে এ সাজা দেওয়া হয়।
মিয়ানমারের একটি সামরিক আদালত শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) সু চির বিরুদ্ধে এই রায় ঘোষণা করে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ নিয়ে বিভিন্ন মামলায় ক্ষমতাচ্যুত এই নেত্রীর মোট ৩৩ বছরের সাজা হলো।
শুক্রবার মিয়ানমারের সামরিক আদালতে সু চির পাঁচটি অভিযোগের বিষয়ে বিচারকাজ শুরু হয়। এ সময় আদালত দুর্নীতির দায়ে সু চিকে দোষী সাব্যস্ত করে।
এক মন্ত্রীর জন্য হেলিকপ্টার ভাড়া করার সময় সরকারি আইন লঙ্ঘন করেছেন তিনি- এমন অভিযোগ করে জান্তা সরকার।
বিবিসি বলছে, কোভিড বিধি লঙ্ঘন, ওয়াকি-টকি আমদানি ও সরকারি গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনসহ ১৪টি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সু চি। চলতি বছর সামরিক আদালতের গোপন কক্ষে সু চির বিচারকাজ শুরু হয়।
বিচারকাজ চলাকালে তার আইনজীবীদের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে সু চির বিরুদ্ধে আনিত সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ক্ষমতা হারানোর পর ৭৭ বছর বয়সী নোবেল বিজয়ী সু চি তার বেশিরভাগ সময় রাজধানী নে পি তাওতে গৃহবন্দি অবস্থায় কাটিয়েছেন।
বার্মার রাজনৈতিক বন্দিদের (বার্মা) সহায়তা সংস্থার দেওয়া তথ্য উল্লেখ করে বিবিসি জানিয়েছে, সু চি ও তার দলের অন্তত ১৬ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি লোক জান্তার হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৩ হাজার জন কারাগারে আছেন।
এদিকে গত সপ্তাহে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ মিয়ানমারে সহিংসতা বন্ধ ও সব রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তবে এই রেজুলেশনে চীন ও রাশিয়া ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২২
এসআইএস/এমএইচএস