ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

নিহত যাত্রীর ফেসবুক লাইভে প্লেন বিধ্বস্ত হওয়ার দৃশ্য

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৩
নিহত যাত্রীর ফেসবুক লাইভে প্লেন বিধ্বস্ত হওয়ার দৃশ্য

নেপালের পোখারায় ইয়েতি এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজের বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ৪ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

 

এদিকে উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষ থেকে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। তাতে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার মুহূর্তের ভিডিও রয়েছে।  

অবতরণের আগে ফেসবুক লাইভে যুক্ত হন এক যাত্রী। আর সেই লাইভ এখন ভিডিও আকারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।  

ভিডিওতে দেখা গেছে, যাত্রীরা উড়োজাহাজের ভেতরে বসে আছেন। যিনি ভিডিও করছেন তিনিসহ উড়োজাহাজের অন্যান্য যাত্রীরা উৎফুল্ল। জানালা দিয়ে নিচে শহর দেখাচ্ছিলেন ভিডিওধারণকারী যাত্রী। এ সময় হঠাৎই বিস্ফোরণে মোবাইল ফোনের পর্দা কেঁপে ওঠে। যাত্রীর হাত থেকে হয়তো এ সময় ছিটকে পড়ে মোবাইল ফোনটি। কারণ ততক্ষণে ভিডিওর ওলট–পালট অবস্থা। ভিডিওর শেষ কয়েক সেকেন্ডে দেখা গেছে, জানালার বাইরে ভয়াবহ আগুন জ্বলছে। এ সময় যাত্রীদের আর্তনাদ শোনা যাচ্ছিল।

 

Video: Nepal Crash Captured By Passenger During Facebook Live From Plane https://t.co/xi4bBS1csW pic.twitter.com/9Z0YK0EZMl

— NDTV (@ndtv) January 16, 2023

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, উড়োজাহাজটিতে ভারতের উত্তর প্রদেশের ঘাজিপুরের ৫ বাসিন্দা ছিলেন। তাদের মধ্যে সনু জইশওয়াল নামের একজন উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগমুহূর্তে ফেসবুকে লাইভ করছিলেন। উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় তিনিও মারা গেছেন।  

নেপালের সাবেক পার্লামেন্ট সদস্য এবং নেপালি কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অভিষেক প্রতাপ শাহ এনডিটিভির কাছে ভিডিওটি পাঠিয়েছিলেন।  

এনডিটিভিকে অভিষেক বলেন, এক বন্ধুর কাছ থেকে তিনি ফুটেজটি পেয়েছেন। গতকাল উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষ থেকে ওই মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়।  

রোববার উড়োজাহাজটির অবতরণের আগমুহূর্তে ধারণ করা ভিডিও বলে দাবি করেন অভিষেক।

নেপালের ইয়েতি এয়ারলাইনসের যাত্রীবাহী প্লেন এটিআর-৭২ পোখারা বিমানবন্দরে নামার আগে সেতি গন্ডকি নদীর ধারের জঙ্গলে ভেঙে পড়ে। মূলত যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এই দুর্ঘটনা। এটি নেপালের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ বিপর্যয়।

বিধ্বস্ত হওয়া প্লেনটিতে ৬৮ জন যাত্রী ও চারজন ক্রু সদস্য ছিলেন। এয়ারলাইন্সটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফ্লাইটে ১৫ জন বিদেশি যাত্রী ছিলেন। এর সঙ্গে ছয় শিশু ছিল। আরোহীদের মধ্যে ৫৩ জন নেপাল, পাঁচজন ভারত, চারজন রাশিয়া, দুজন কোরিয়ার এবং আর্জেন্টিনা, আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ফ্রান্সের একজন করে নাগরিক ছিলেন।

নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্লেনটি স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৩৩ মিনিটে কাঠমান্ডুর ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওড়ে।

এটি ১৫ বছরের পুরোনো প্লেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।