২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে চীনে জনসংখ্যা কমেছে। গত ৬০ বছরে এবারই প্রথমবারের মতো জনবহুল এই দেশটিতে জনসংখ্যা কমল।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে চীনে কর্মক্ষম জনসংখ্যা ক্রমেই কমছে। অন্যদিকে রেকর্ড পতন হয়েছে জন্মের হারেও। ধারণা করা হচ্ছে, এর প্রভাব সরাসরি চীনের অর্থনীতির ওপর পড়তে চলেছে।
২০২২ সালে চীনা অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ছিল মাত্র ৩ শতাংশ। গত চার দশকে যা সবচেয়ে নিচে। যদিও এই পরিসংখ্যানের পেছনে জনসংখ্যার চেয়ে মহামারি করোনার ভূমিকাই বেশি।
সরকারি হিসাব বলছে, ২০২২ সালের শেষে চীনের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১৪১ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার। বেজিংয়ের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো মঙ্গলবার জানিয়েছে, আগের বছরের শেষের তুলনায় এই সংখ্যাটি সাড়ে আট লাখ কমেছে।
চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে চীনে জন্ম নিয়েছে ৯৫ দশমিক ৬ লাখ শিশু। অন্যদিকে গতবছর চীনে মারা যাওয়ার সংখ্যা ছিল ১ দশমিক ০৪ কোটি। এর আগে ১৯৬০ সালে চীনে শেষবারের মতো জনসংখ্যা কমেছিল। সেবার চীন সম্মুখীন হয়েছিল আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ দুর্ভিক্ষের।
চীনের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তিই দেশটির বিপুল সংখ্যক জনসংখ্যা। কমদামে কর্মীর চাহিদা মেটাতে চীনে হাজির হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উৎপাদনকারী সংস্থা। কিন্তু কঠোর জন্মনিয়ন্ত্রণ আইনের প্রভাবে গত বেশ কয়েক বছর ধরেই চীনে জন্মহার আগের মতো বেশি ছিল না। এভাবে জনসংখ্যা হ্রাস পেলে তার প্রভাব পড়তে পারে দেশটির অর্থনীতিতে।
জনসংখ্যার বিস্ফোরণ ঠেকাতে ১৯৭৯ সালে এক সন্তান নীতি চালু করেছিল চিন। গত ২০১৬ সালে দুই সন্তানের অনুমতি দেওয়া হয়। পরে গতবছর চীনের পলিটব্যুরোতে জন্ম নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ আরও কিছুটা শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানানো হয়, এবার থেকে তিন সন্তানের জন্ম দেওয়ার অনুমতি পাবেন নাগরিকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৩
এমএইচএস