কাশ্মীর সংকটের মতো আলোচিত সংকটগুলোর সমাধানে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। এই ক্ষেত্রে তিনি আরব আমিরাতের ভূমিকা চেয়েছেন।
গেল সপ্তাহে আরব আমিরাত সফরকালে শেহবাজ দেশটিকে ভ্রাতৃবৎ দেশ হিসেবে আখ্যা দেন। মঙ্গলবার আল আরবিয়ায় সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে শেহবাজ বলেন, কথা দিচ্ছি যে, আমরা ভারতের সঙ্গে আন্তরিকতার সঙ্গে কথা বলব। কিন্তু দুই পক্ষেরই ইচ্ছা থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি আমার বার্তা থাকবে যে, চলুন আমরা আলোচনার টেবিলে বসি। গুরুত্ব দিয়ে এবং আন্তরিকভাবে কাশ্মীরের মতো আলোচিত সমস্যাগুলোর সমাধান করি।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনের শেকল থেকে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি স্বাধীন দেশ হলে হিমালয়ের অঞ্চল কাশ্মীরে সীমানা বসে। এর পর থেকেই প্রতিবেশী দুটি দেশ কাশ্মীর ঘিরে একাধিক যুদ্ধে জড়িয়েছে।
শেহবাজ বলেন, আমরা পরস্পর প্রতিবেশী। আমরা শিক্ষা পেয়েছি। ভারতের সঙ্গে তিনটি যুদ্ধে আমরা লড়েছে। এসব যুদ্ধ আমাদের দুর্দশা, বেকারত্ব ও দারিদ্র্য দিয়েছে।
চার বছরের আগে ভারত সরকার দেশটির সংবিধানের ৩৭০ ধারায় পরিবর্তন আনে। ভারত-শাসিত কাশ্মীরের আংশিক স্বায়ত্বশানের ক্ষমতা শেষ হয়ে যায়।
কাশ্মীরে ভারত সরকারের কার্যক্রম প্রসঙ্গে শরিফ বলেন, সেখানে প্রতিনিয়ত নিদারুণভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটছে। আমাদের দুই দেশেরই তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবা উচিত।
তিনি বলেন, এটি বন্ধ করা উচিত। আমরা বিশ্বের কাছে এই বার্তা দিতে চাই যে, ভারত সংলাপের জন্য প্রস্তুত, আমরা এর চেয়ে বেশি প্রস্তুত। সমৃদ্ধির জন্য আমরা আমাদের সম্পদকে সরঞ্জামে রূপান্তর করতে চাই...এই বার্তাটি আমি মোদিকে দিতে চাই।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দুই দেশেরই পরমাণু শক্তি রয়েছে। সৃষ্টিকর্তা না করুক, যদি একটি যুদ্ধ বেঁধে যায়, কী ঘটেছিল তা বলার জন্য কে থাকবে। এটি কোনো বিকল্প হতে পারে না।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৩
আরএইচ