জাপান গত বছরের অক্টোবরে সীমান্ত উন্মুক্ত করে দিয়েছে। এরপর দেশটির পর্যটন খাতে গতি ফিরেছে।
এ খবর জানিয়েছে, জাপান টাইমস।
জানা গেছে, খাতটিকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) খসড়া পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে জাপান সরকার। পরিকল্পনা অনুযায়ী, দেশটিতে ২০২৩-২৫ অর্থবছরে পর্যটন খাতে মাথাপিছু ব্যয় বেড়ে উন্নীত হবে ১ হাজার ৫০০ ডলারে। ২০১৯ সালের তুলনায় যা ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি। আগামী বছরগুলোয় এক্সপো ২০২৫-এর মতো বেশকিছু আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে জাপানে। স্বাভাবিকভাবেই আন্তর্জাতিক উড়োজাহাজ ভ্রমণের অন্যতম প্রধান গন্তব্যে পরিণত হবে দেশটি।
বৃহস্পতিবার খসড়া পরিকল্পনাটি বিশেষ সভায় প্রকাশ করা হয়। জানানো হয় আগামী মার্চে মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হওয়ার কথা। ২০২০ অর্থবছর নিয়ে পরিকল্পনার মেয়াদ শেষ হলেও তার পর্যালোচনার সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে করোনার আঘাতে পর্যটন খাত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে।
জাপান ২০১৯ সালেও ৩ কোটি ১৮ লাখ ৮০ হাজার পর্যটকের গন্তব্য ছিল। কিন্তু করোনার কারণে পরের বছরে বড় ধরনের অবনমন ঘটে। ২০২০ সালে পর্যটক নামে ৪১ লাখ ২০ হাজার ও ২০২১ সালে ঠেকে ২ লাখ ৫০ হাজারে। তবে শুধু সংখ্যার দিকে মনোযোগ না দিয়ে জাপান সরকার কৌশলগত পরিবর্তন আনতে চায় পর্যটন খাতে।
প্রধান শহরগুলোর বাইরেও দেশের অন্যান্য অংশে ভ্রমণের জন্য সম্ভাব্য উপায়ে পর্যটকের জন্য আকর্ষণীয় করে তুলছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ঘোষণা দিয়েছেন- পর্যটন খাতে ৫ ট্রিলিয়ন ইয়েন ব্যয় করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩
জেডএ