আইএসে যোগ দিতে ১৫ বছর বয়সে যুক্তরাজ্য ছেড়েছিলেন শামিমা খান। পরে দেশটির সরকার তার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করে।
গেল নভেম্বরে পাঁচ দিন আপিল শুনানির পর বিচারক রবার্ট জে মঙ্গলবার তার আদেশ জানিয়ে দেন। শামিমার আইনজীবী যুক্তিতর্কে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্তব্য ছিল নাগরিকত্ব বাতিলের আগে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা। তিনি বলেন, শামিমা পাচারের শিকার হয়েছিলেন।
শামিমা যুক্তরাজ্যে ফিরতে পারবেন কি না, আদালতের এই আদেশে তা পরিষ্কার নয়। তবে আদালত তার নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত সমর্থন জানিয়ে বলেছে, এটি আইনসম্মত।
শামিমার বয়স এখন ২৩ বছর। এখন তিনি সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের একটি ক্যাম্পে বাস করছেন। ২০২৩ সালে স্কুলের দুই বন্ধুকে নিয়ে পালিয়ে সিরিয়া যান আইএসে যোগ দিতে।
২০১৯ সালে তিনি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের শিরোনামে আইএস বধূ পরিচয়ে উঠে আসেন। তখন তিনি যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেন, তিনি দেশে ফিরে সন্তান জন্ম দিতে চান।
এরপর ২০১৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ শামিমার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব কেড়ে নেন। পরে শামিমার সদ্যজাত শিশু সিরিয়ার শরণার্থী শিবিরে মারা যায়। যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, তার আগে দুই সন্তান শিশু অবস্থায় সিরিয়ায় মারা গিয়েছিল।
শামিমার আইনজীবীরা মঙ্গলবারের এই আদেশের সমালোচনা করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩
আরএইচ