ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের এক বছর হয়ে গেছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে আগ্রাসন শুরু হলে মস্কোর বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেয় বহু দেশ।
সুইডিশ ইইউ কাউন্সিল প্রেসিডেন্সি শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্রাসেলসে এ নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ ঘোষণা করে। এর আওতায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে ১০টি। এ ছাড়া ইউক্রেনকে যতদিন লাগবে সমর্থন করা হবে বলে জানায় ইইউ।
নতুন এ নিষেধাজ্ঞায় ইউক্রেনকে যুদ্ধের অর্থায়নকে আরও কঠিন করার কথা বলা হয়। একইসঙ্গে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্রের জন্য প্রযুক্তি সরঞ্জাম ও খুচরা যন্ত্রাংশ কেনার বিষয় যোগ করা হয়েছে।
শুক্রবার ঘোষিত এ প্যাকেজের আওতায় রাশিয়ার ৩০টিরও বেশি কোম্পানি ও বহু ব্যক্তির ওপর ডজনখানেক নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ। নিষেধাজ্ঞা দেওয়া কোম্পানিগুলোয় রয়েছে রাশিয়ার কয়েকটি ব্যাংক, প্রযুক্তি কোম্পানি। ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরাও রয়েছেন এতে।
যেসব কোম্পানির বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, কালো তালিকাভুক্ত ঘোষণা করে প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পদ বাজেয়াপ্তের ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মার্কিন নাগরিকদের ব্যবসার ক্ষেত্রেও।
কানাডাও রুশ উপ-প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট দপ্তরের কর্মকর্তা, সেনা কর্মকর্তাসহ ১৯২ নাগরিককে কালো তালিকাভুক্ত ঘোষণা করেছে।
গত বছর ফেব্রয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। পরে এ তালিকায় যোগ হয় কানাডা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি ও জাপান। ইউরোপীয় ইউনিয়নও বেশ কয়েকটি ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। ভ্লাদিমির পুতিন তো বটেই তার দুই মেয়ের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩
এমজে