ইরাকে অ্যালকোহল বা মদ আমদানি ও বিক্রি নিষিদ্ধের আইন প্রত্যাহার চাইছেন দেশটির খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী রাজনীতিবিদেরা। খবর বিবিসি।
খ্রিস্টান গোষ্ঠীর পাঁচটি আসন রয়েছে ইরাকের পার্লামেন্টে। অ্যালকোহল নিষিদ্ধের আইনের বিরুদ্ধে তারা একটি আপিল করেছেন।
জনসমক্ষে অ্যালকোহল পান করা মুসলিম প্রধান ইসলামি দেশ ইরাকে এক ধরনের অপরাধ। তবে মদের দোকান বা লাইসেন্সযুক্ত বার থেকে মদ কেনা যায়।
মদের আমদানি ও বিক্রি সংক্রান্ত আইনটি ইরাকের পার্লামেন্টে ২০১৬ সালে পাস হয়। এই আইনে ১৪ হাজার ২৫৬ পাউন্ড জরিমানার বিধান রয়েছে।
এই আইন অনুযায়ী মদ বিক্রি, আমদানি বা উৎপাদন নিষিদ্ধ হলেও এর সাত বছর পর গেল মাসে অফিসিয়াল গেজেট হওয়ার পর তা কার্যকর হয়।
এটি এখনও অনিশ্চিত কতটা শক্তভাবে এই আইনের প্রয়োগ করা হবে কিংবা দেশটির ফেডারেল সুপ্রিম কোর্ট এটি ফেরত দেবে কি না।
আদালতে আপিলে ব্যাবিলনে মুভমেন্টের সদস্যরা জোর দিয়ে বলেন, এই আইন অসাংবিধানিক। কারণ এতে সংখ্যালঘুদের অধিকার উপেক্ষা করার পাশাপাশি স্বাধীনতায় বিঘ্ন সৃষ্টি করা হয়েছে।
গেল ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত গেজেটে অ্যালকোহলিক পানীয় আমদানিতে আগামী চার বছরের জন্য যে ২০০ শতাংশ কর নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, তা এই আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
বাগদাদের সারমাদ আব্বাস নামে এক এস্টেট এজেন্ট এএফপিকে বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা কালোবাজারে অ্যালকোহল বিক্রি বাড়িয়ে দেবে।
তিনি বলেন, মুসলিম শিক্ষায় মদ পান করা নিষিদ্ধ। তবে নাগরিকদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা রয়েছে। এ থেকে লোকজনকে বিরত রাখা যাবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২৩
আরএইচ