ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ভারতের ডিগ্রি স্বীকৃতি পাবে অস্ট্রেলিয়ায়!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২৩
ভারতের ডিগ্রি স্বীকৃতি পাবে অস্ট্রেলিয়ায়!

ভারতীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাপ্ত ডিগ্রিকে স্বীকৃতি দেবে অস্ট্রেলিয়া। চার দিনের ভারত সফরে এসে এই ঘোষণা দিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানেজ।

অ্যালবানেজ জানিয়েছেন, ‘অস্ট্রেলিয়া-ভারত শিক্ষাগত যোগ্যতা স্বীকৃতি পদ্ধতি’ নিয়ে চুক্তি সইয়ের কাজ চূড়ান্ত করেছে অস্ট্রেলিয়া ও ভারত সরকার।  

শুক্রবার মুম্বাইয়ে ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিইও মঞ্চের অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুদেশের মধ্যে সই হওয়া অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতামূলক চুক্তি একটি বদল নিয়ে আসা চুক্তি, বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যা পরবর্তী ধাপ খুলে দেবে।  
 
গতকাল রাতে গুজরাট থেকে মুম্বাই হয়ে দিল্লি পৌঁছান অ্যালবানেজ। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার শীর্ষ বৈঠক। গুজরাটের গান্ধীনগরের গিফট সিটিতে অস্ট্রেলিয়ার ডিকিন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আন্তর্জাতিক শাখা ক্যাম্পাস স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে পারস্পরিক শিক্ষাগত যোগ্যতা স্বীকৃতি পদ্ধতি চালুর কথা জানান অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী।  

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, শিক্ষাক্ষেত্রে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ঘটেছে। আমরা অস্ট্রেলিয়া-ভারত শিক্ষাগত যোগ্যতা স্বীকৃতি পদ্ধতি চূড়ান্ত করেছি। এই নতুন পদ্ধতির অর্থ, আপনি যদি ভারতীয় শিক্ষার্থী হন এবং অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করেন, তা হলে দেশে ফিরে আসার পর আপনার কষ্টার্জিত ডিগ্রি স্বীকৃতি পাবে। অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয় প্রবাসীদের সংখ্যাও কম নয়, প্রায় পাঁচ লাখ। ক্রমে এই সংখ্যা আরও বাড়ছে। আপনি যদি এই প্রবাসী ভারতীয়দের একজন হয়ে থাকেন, আপনার ভারতীয় যোগ্যতাও অস্ট্রেলিয়ায় স্বীকৃতি পাবে।

অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে ইচ্ছুক ভারতীয় শিক্ষার্থীদের জন্য এক নতুন বৃত্তি দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন অ্যালবানেজ়। তিনি বলেন, আমি একটি নতুন বৃত্তির কথা ঘোষণা করছি– মৈত্রী বৃত্তি। ভারতীয় শিক্ষার্থীরা অস্ট্রেলিয়ায় চার বছর পর্যন্ত পড়াশোনা করার জন্য এই বৃত্তি পাবেন। এই বৃত্তি বৃহত্তর মৈত্রী প্রকল্পের অংশ। অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যে সাংস্কৃতিক, শিক্ষাগত এবং সম্প্রদায়গত সম্পর্ককে জোরদার করার লক্ষ্যে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২৩
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।