কারাবন্দী পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান বুধবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, তাকে কারাগারে ধীরগতির বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হতে পারে।
বুধবার নিজের শঙ্কার কথা প্রকাশ করে ইমরান আদালতকে বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ একটি ইঞ্জেকশন দেয় যা একজন ব্যক্তিকে ধীরে ধীরে মেরে ফেলে।
বুধবার আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি) থেকে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আদালত চলার সময় তিনি নিজের চিকিৎসক ডা. ফয়সাল সুলতানের মাধ্যমে চিকিৎসা নেওয়ার দাবি জানান। তিনি জানান, মাকসুদ চাপরাশিকে যে ধরনের ‘শাস্তিমূলক চিকিৎসা’ দেওয়া হয়েছিল তা এড়াতে চান তিনি।
মালিক মাকসুদ আহমাদ ওরফে মাকসুদ চাপরাসি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে এক হাজার ৬০০ কোটি রুপির অর্থপাচার মামলার একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। ২০২২ সালের জুনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে মারা যান তিনি। পিটিআই তার মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে তদন্তের দাবি জানিয়েছিল।
ওই বছরই ইমরান খান অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন। ক্ষমতা হারানোর সাত মাসের মধ্যে তাকে হত্যার চেষ্টায় হামলা চালানো হয়। ইমরান খান অভিযোগ করেছিলেন, একজন সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তা, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ এই হামলার পেছনের কারিগর। তবে তারা এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। অন্যদিকে ইমরান খানও তার অভিযোগের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৩
নিউজ ডেস্ক