পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর সরকার মোবাইল ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগের প্ল্যাটফর্মগুলো বন্ধ করে দেয়। এ বিষয়ে সুস্পষ্ট জবাব চেয়েছেন দেশটির লাহোর হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) সরকার ও পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন কর্তৃপক্ষের (পিটিএ) কাছে ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিতের বিষয়ে জবাব চেয়েছেন লাহোর হাইকোর্ট।
বিচারপতি আবিদ আজিজ শেখ ২২ মে এর মধ্যে পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন কর্তৃপক্ষকে জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এছাড়া বিচারক প্রাসঙ্গিক আইন ও সংবিধানের বিভিন্ন বিধানের ব্যাখ্যায় সহায়তার জন্য পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনারেলকেও একটি নোটিশ জারি করেছেন।
অ্যাডভোকেট আবুজার সালমান নিয়াজির আবেদনের প্রেক্ষিতে লাহোর হাইকোর্ট সরকার ও পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন কর্তৃপক্ষকে জবাব দিতে নির্দেশ দেন ।
আবুজার সালমান নিয়াজি আবেদনে জানতে চান ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবসহ সব সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য কেন বন্ধ করা হয়েছে।
আবেদনে তিনি যুক্তি দিয়ে উল্লেখ করেন ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাক্সেস ব্লক করা দেশের আইন ও সংবিধান অনুযায় নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন।
আবেদনকারী অবিলম্বে সারাদেশে ইন্টারনেট পরিষেবা পুনরুদ্ধারের নির্দেশ দিয়ে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার প্রয়োগ করতে বলেন।
গত মঙ্গলবার (৯ মে) সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকে গ্রেপ্তার হন। বুধবার (১০ মে) আদালত তার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তোশাখানা মামলাতেও অভিযুক্ত হয়েছেন তিনি।
ইমরানের গ্রেপ্তার ঘিরে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে পাকিস্তান। ইমরানের সমর্থকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। সেনানিবাসসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়েছেন তারা। এ পর্যন্ত দেড় হাজারের বেশি লোক গ্রেপ্তার হয়েছেন, প্রাণ গেছে আটজনের।
সূত্র: ডন
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২৩
জেএইচ