উত্তর কাশ্মীরের বান্দিপোরা জেলায় বাংলাদেশ নামে একটি গ্রাম রয়েছে। মনোমুগ্ধকর উলার হ্রদের তীরে এর অবস্থান।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বড় মিঠাপানির হ্রদ উলারের সৌন্দর্য যেকোনো পর্যটকের কাছেই আকর্ষণীয়। এখানে পর্যটকরা নৌকা চালানো, মাছ ধরা এবং পাখি দেখার মতো বিষয়গুলো উপভোগ করতে পারেন।
বাংলাদেশ নামক গ্রামটির অবস্থান কাশ্মীরের বান্দিপোরা জেলা থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরত্বে। ছোট্ট এই গ্রামটিতে ৩০০ লোকের বাস। জলপ্রপাত এবং পাহাড়ে ঘেরা বান্দিপোরা-সোপোর সড়কের পাশের এই জায়গায় চাইলে সহজেই যাওয়া যায়।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের সৃষ্টি হওয়ার পর দেশের নামে গ্রামটির নামকরণ করা হয়। তখন সেখানে জুরিমন নামে এক গ্রাম ছিল। গ্রামটি আগুনে পুড়ে যায়। এতে গ্রামবাসীরা আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে। পরে তারা একটু দূরে গিয়ে বসতি গড়ে এবং গ্রামের নাম দেয় বাংলাদেশ।
শুরুতে পাঁচ-ছয়টি থাকলেও এখন ৫০ থেকে ৬০টি বাড়ি হয়ে গেছে। সেখানে লোকজন জীবিকা নির্বাহের জন্য কৃষির ওপর নির্ভরশীল। দীর্ঘদিন গ্রামটি সরকারি রেকর্ডে ছিল না। তবে ২০১০ সালে বান্দিপোরা ডিসি অফিস গ্রামের নামটি স্বীকৃতি দেয় এবং আলাদা গ্রাম হিসেবে চিহ্নিত করে।
সারা ভারত থেকেই পর্যটকরা কাশ্মীরের বাংলাদেশ নামক গ্রামের সৌন্দর্যের সাক্ষী হতে আসেন। তাদের কাছে এই সৌন্দর্য বিস্ময়কর। স্থানীয় যারা জেলে সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত, তারা নিজেদের গ্রাম একটি পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত। গ্রামবাসীদের বিশ্বাস, যদি সরকার আরও সুযোগ সুবিধা দেয় এবং আরও উন্নয়ন করে, তবে আরও পর্যটকের আগমন ঘটবে।
সূত্র: এএনআই, টাইমস অব ইন্ডিয়া
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, ১৭ মে ২০২৩
আরএইচ