পাকিস্তানের সবচেয়ে উত্তরের প্রশাসনিক অঞ্চল গিলগিট-বালতিস্তানের আস্তোর জেলায় তুষার ধসে কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২৭ মে) এ তুষার ধসের ঘটনা ঘটে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে দিয়ামার-আস্তোর বিভাগের উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক তোফায়েল মীর বলেছেন, উদ্ধার অভিযানের সুবিধার্থে ও ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে লোকদের উদ্ধারের জন্য জেলায় একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে।
এরই মধ্যে উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে বরফের নিচে চাপা ব্যক্তিদের উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করেছে। এছাড়া সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার এবং চিকিৎসকদের একটি দল, অ্যাম্বুলেন্স এবং উদ্ধারকারী দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। বরফের নিচে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী খালিদ খুরশিদ খান এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনার জন্য গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি স্থানীয় প্রশাসনকে এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
৮ হাজার মিটার উচ্চতার ১৪টি বিশ্ববিখ্যাত শৃঙ্গের মধ্যে পাঁচটি এ অঞ্চলে অবস্থিত। এগুলো ছাড়া গিলগিট-বালতিস্তানে ৭হাজারেরও বেশি হিমবাহ রয়েছে। এ অঞ্চলে প্রায়ই তুষারপাত, ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
২০১২ সালে গিলগিট-বালতিস্তানের স্কারদু জেলার প্রায় ৩০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে গায়রি এলাকায় ভয়াবহ তুষার ধসে কমপক্ষে ১২৯ পাকিস্তানি সেনা ও ১১ বেসামরিক লোক প্রাণ হারান।
সূত্র: জিও নিউজ
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২৩
জেএইচ