সেলফি তুলতে গিয়ে ভারতের এক সরকারি কর্মকর্তার ফোন জলাধারে পড়ে যায়। পরে তিনি এই স্মার্টফোন খুঁজে পেতে জলাধার শুকিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন।
ওই কর্মকর্তা খাদ্য পরিদর্শক রাজেশ বিশ্বাস। গেল সপ্তাহে ছত্তিশগড় রাজ্যের কাঙ্কের জেলার খেরকাট্টা বাঁধে তার ফোনটি পড়ে যায়। টাইমস অব ইন্ডিয়া এই খবর জানিয়েছিল।
প্রথমে রাজেশ বিশ্বাস ফোনটি উদ্ধারে ডুবুরিদের সাহায্য নিয়েছিলেন। তার দাবি ছিল, ফোনে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি তথ্য রয়েছে। প্রাথমিক চেষ্টায় ফোন উদ্ধারে ব্যর্থ হন ডুবুরিরা। পরে তিনি ডিজেল পাম্পে জলাধারটি শুকিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন।
তিন দিনেরও বেশি সময় ধরে ২০ লাখ লিটারের বেশি পানি সেচের মাধ্যমে জলাধারটি থেকে সরানো হয়। এই পরিমাণ পানি গ্রীষ্মকালে ১৫০০ একর জমিতে সেচের জন্য যথেষ্ট। স্থানীয় গণমাধ্যম প্রতিবেদনে এমনটি জানায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, ডিজেল পাম্পে পানিসেচ চলছে, আর লাল একটি ছাতার নিচে বসে আছেন রাজেশ।
স্থানীয় গণমাধ্যমকে বিশ্বাস বলেন, এই জলাধারের পানি সেচকাজে ব্যবহারযোগ্য নয়। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছ থেকে পানি শুকিয়ে ফেলার নির্দেশ পেয়েছেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, রাজেশ বলেন, সেচ বিভাগের কর্মকর্তারা আমাকে বলেছেন এই পানি কৃষকেরা ব্যবহার করছেন না। আমি ৩ ফুট পর্যন্ত শুকিয়ে ফেলতে পারি । তাই আমি একটি খালে পানি নিষ্কাশন করেছি এবং তা ব্যবহার উপযোগী করেছি।
পানি অপচয়ের জন্য বিশালভাবে সমালোচিত রাজেশ বিশ্বাসকে পরে কর্তৃপক্ষ বরখাস্ত করে।
পানি সংকটে পড়া দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম ভারত। চরম তাপমাত্রার কারণে দেশটিতে পানির তীব্র ঘাটতি দেখা দেয়, যার ফলে ফসলের ক্ষতি, বনে আগুন এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মতো ঘটনা ঘটে।
ঊর্ধ্বতন জেলা কর্মকর্তা প্রিয়াঙ্কা শুক্লা স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, আনুষ্ঠানিক অনুমতি না নিয়েই তিনি পানিসেচ করেছেন। এটি অগ্রহণযোগ্য।
যে কর্মকর্তারা রাজেশ বিশ্বাসের আদেশ বাস্তবায়নের অনুমতি দিয়েছিলেন তাদের বিরুদ্ধেও কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২৩
আরএইচ