সুদানের সেনাবাহিনী অস্ত্রবিরতি এবং মানবিক সংকটে সহায়তা সংক্রান্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ স্থগিত করেছে। দেশটির কূটনৈতিক সূত্র আল জাজিরাকে এমনটি বলেছে।
এর ফলে নতুন করে লড়াই শুরু হওয়ার শঙ্কা বাড়ছে। সুদানে সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনীর সংঘাতে বহু মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
বিদ্রোহী আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস মে মাসের শুরুতে সৌদি আরবের বন্দর নগর জেদ্দায় আলোচনায় বসে। আলোচনা থেকে তারা বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় প্রতিশ্রুতির ঘোষণা দেয় এবং দুই দফা স্বল্পমেয়াদের অস্ত্রবিরতির চুক্তি হয়ে, যা অবশ্য বারবার লঙ্ঘিত হয়।
সেনাবাহিনী ও আরএসএফ গেল সোমবার অস্ত্রবিরতির মেয়াদ এক সপ্তাহ বাড়ানোর প্রস্তাবে রাজি হয়।
কূটনৈতিক সূত্র আল জাজিরাকে বুধবার বলেছে যে, সেনাবাহিনী আলোচনায় অংশগ্রহণ স্থগিত করেছে।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার নাবিল আবদাল্লা বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, আরএসএফের বারবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগের জবাবে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এক বিবৃতিতে, জেদ্দায় আলোচনা বন্ধ করার জন্য আরএসএফ সেনাবাহিনীকে অভিযুক্ত করেছে যাতে এটি তাদের দুর্বল করতে পারে। তারা বিমান শক্তি এবং ভারী কামান ব্যবহার করে তাদের অবস্থানে আক্রমণ করে অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করেছে।
মঙ্গলবার রাত থেকে সুদানের রাজধানী খার্তুমে ভয়াবহ সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। খার্তুমের পাশে ওমদুরমান ও খার্তুমের পশ্চিমাংশে সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে।
আল-জাজিরার মোহাম্মদ ভল বলেন, যদিও জেদ্দায় আলোচনার উদ্দেশ্য ছিল বেসামরিক নাগরিকদের তাদের জীবন পুনর্গঠিত করতে সাহায্য করা, তাদের লক্ষ্যটি ছিল অধরা।
তিনি বলেন, লোকজন এখনো খার্তুম ছেড়ে যাচ্ছে। অনেক লোক তাদের বাড়িতে আটকা রয়েছে, কারণ খবর পাওয়া গেছে আরএসএফ লোকজনকে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২৩
আরএইচ