উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে নিখোঁজ সাবমেরিনের খোঁজে অভিযান চালানোর সময় ওই এলাকায় পানির তলদেশে একধরনের শব্দ পেয়েছে অনুসন্ধানের সঙ্গে যুক্ত কানাডিয়ান একটি এয়ারক্র্যাফট। যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
সাগরের তলদেশে রোবটের সাহায্যে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড বুধবার বলেছে, পানির তলদেশে শব্দ শনাক্ত হওয়ায় ইতিমধ্যে অনুসন্ধানকারী রোবটের অবস্থান পরিবর্তন করে শব্দের মূল উৎপত্তিস্থলের দিকে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে এখনো নিখোঁজ সাবমেরিনটিকে শনাক্ত করা যায়নি।
উত্তর আটলান্টিকে ডুবে যাওয়া টাইটানিকের অবশিষ্ট অংশ দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সাবমেরিনটি। এই সাবমেরিনে পাঁচ যাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে। ওশান গেট এক্সপিডিশন নামে একটি সংস্থার উদ্যোগে ওই অভিযান শুরু হয়েছিল। ২১ ফুট লম্বা একটি সাবমেরিন নিয়ে বেরিয়েছিলেন তারা।
রোববার তারা বেরিয়েছিলেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এর ঘণ্টা দুয়েক পর থেকেই তাদের আর খোঁজ মিলছে না। এখনো তল্লাশি অভিযান চলছে। এএফপি।
ওই সাবমেরিনে থাকা পাঁচ যাত্রীর পরিচয় প্রকাশ করেছে বিবিসি। তারা হলেন হ্যামিশ হার্ডিং, শাহজাদা দাউদ, সুলেমান দাউদ, পল হেনরি নারজিওলেট ও স্টকটন রাশ।
৫৮ বছর বয়সী ব্রিটিশ অভিযাত্রী হ্যামিশ হার্ডিং। তিনি মহাকাশে গেছেন এবং বেশ কয়েকবার দক্ষিণ মেরুতেও ভ্রমণ করেছেন।
৪৮ বছর বয়সী শাহজাদা দাউদ পাকিস্তানের একটি ধনী পরিবারের সদস্য। ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের প্রতিষ্ঠিত দুটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সেবা কাজের সঙ্গে তিনি যুক্ত। তার ছেলে সুলেমান দাউদও ওই সাবমেরিনে ছিলেন। ১৯ বছর বয়সী সুলেমান শিক্ষার্থী।
৭৭ বছর বয়সী পল হেনরি নারজোলেত ফরাসি নৌবাহিনীর সাবেক ডুবুরি। ১৯৮৭ সালে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ এলাকায় যাওয়া প্রথম অভিযাত্রী দলের সঙ্গে তিনি ছিলেন।
সাবমেরিনটিতে যে পরিমাণ অক্সিজেন মজুত থাকে, তা দিয়ে ৯৬ ঘণ্টা পানির নিচে টিকে থাকা যায়। সে অনুযায়ী, সাবমেরিনটি অক্ষত থাকলে এর যাত্রীরা আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত অক্সিজেন সরবরাহ পাবেন।
১৯১২ সালে উত্তর আটলান্টিক সাগরে ডুবে গিয়েছিল টাইটানিক। প্রায় ১৩ হাজার ফুট সমুদ্রের গভীরে চলে যায় এই বিশাল জাহাজ। কানাডার নিউ ফাউন্ডল্যান্ড উপকূল থেকে প্রায় ৬৫০ কিলোমিটার দূরে টাইটানিক ডুবে গিয়েছিল।
বিবিসি, আল জাজিরা ও এএফপি
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২৩
আরএইচ