রাশিয়ার ভোলগা নদীর তীরের শহর উলিয়ানভস্কে কোরআন অবমাননা করার সন্দেহে এক মিশরীয় যুবকের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আনা হয়েছে।
রাশিয়ার তদন্ত কমিটির স্থানীয় শাখা বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) এক বিবৃতিতে জানায়, গত ১ জুন শহরের সিয়াগা নদীর ওপর একটি ফুটওভার ব্রিজ থেকে ওই ব্যক্তি কোরআন অবমাননার কাজটি করেন।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, তদন্তে দেখা গেছে ২৮ বছর বয়সী ওই মিশরীয় যুবক কোরআনকে পদদলিত করার পর তাতে মদ ছিটিয়ে পানিতে নিক্ষেপ করেন। পুরো ঘটনাটি ওই যুবক তার মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে।
পুরো তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত যুবককে আটক রাখার সুপারিশ করবে বলে জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। এরই মধ্যে অভিযুক্ত যুবকের বাড়িতে তল্লাশির পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে বিদেশি যুবকের রাশিয়ায় পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
স্থানীয় গণমাধ্যম সন্দেহভাজন যুবককে একজন মিশরীয় নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ওই যুবক কয়েক বছর ধরে রাশিয়ায় বসবাস করছেন।
আর্গুমেন্টি আই ফ্যাক্টি ম্যাগাজিনের তথ্যানুসারে তিনি আগে একজন মুসলিম ছিলেন, কিন্তু ২০১৮ সালে নিজ দেশে খ্রিষ্ট ধর্ম গ্রহণ করেন। সেখানে তার ধর্মীয় বিশ্বাসের জন্য নির্যাতিত হওয়ার কারণে তাকে মিশর ছাড়তে হয়েছিল বলে জানা গেছে।
ঘটনাটি জুনের শুরুতে শিরোনাম হয়েছিল যখন ওই যুবক সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের কোরআনের অবমাননা করার ভিডিও পোস্ট করে।
এ ঘটনায় উলিয়ানভস্ক অঞ্চলের গভর্নর বুধবার (৫ জুলাই) টেলিগ্রামে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের অঞ্চল বহুজাতিক, আমরা একে অপরকে সম্মান করি, একে অপরের ঐতিহ্য, রীতিনীতিকে সম্মান করি। আমরা বিশ্বস্তদের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি খুবই সংবেদনশীল।
তিনি আরও বলেন, অন্য কিছু দেশে, এ ধরনের অশ্লীলতা একটি বিকৃত নিয়ম হতে পারে, কিন্তু রাশিয়ায় কোরআনের প্রতি অসম্মান করা একটি জঘন্য অপরাধ।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০২৩
জেএইচ