ইউক্রেনের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনুমোদন করতে যাচ্ছে বিশ্বের সাত বৃহৎ অর্থনীতির দেশকে নিয়ে গঠিত জি-৭ জোট।
বুধবার (১২ জুলাই) ন্যাটো সম্মেলনে জোটের সদস্যরা এই প্রত্যাশার কথা জানান।
দীর্ঘমেয়াদী এই নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে থাকবে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম, প্রশিক্ষণ এবং গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান।
এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, চুক্তিটি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের কাছে একটি ‘শক্তিশালী সংকেত’ পাঠাবে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ন্যাটোতে যোগদানের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করতে বলার পরই এ ঘোষণাটি এলো।
সুনাক বলেছেন, ‘কিয়েভের মিত্ররা দীর্ঘমেয়াদে ইউক্রেনকে রক্ষা করার আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা নিচ্ছে। ’
তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনে যা ঘটেছে, আমরা কখনই তার পুনরাবৃত্তি দেখতে চাই না। এই ঘোষণাটি আমাদের প্রতিশ্রুতিকে আবারও নিশ্চিত করে যে, রাশিয়া যে ধরনের বর্বরতা চালিয়েছে তার জন্য ইউক্রেনকে কখনও অরক্ষিত রাখা হবে না। ’
তিনি যোগ করেছেন যে, কিয়েভের ‘ন্যাটো সদস্যপদ লাভের পথ’, সেইসঙ্গে ন্যাটো সদস্যদের ‘আনুষ্ঠানিক, বহুপাক্ষিক এবং দ্বিপাক্ষিক’ সমর্থন রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠাবে। এটি ‘ইউরোপে শান্তি ফিরিয়ে আনবে’।
সুনাক বলেছেন, জি-৭ অংশীদার কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্রের এই চুক্তিতে যুক্তরাজ্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানানো হবে।
সূত্র- বিবিসি
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪১ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২৩
এমএইচএস