এক মার্কিন সেনাকে আটক করেছে উত্তর কোরিয়া। জানা গেছে, কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই ওই সেনা দক্ষিণ কোরিয়া থেকে উত্তর কোরিয়ার সীমান্তে ঢুকেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের একজন জ্যেষ্ঠ কমান্ডার বলেছেন, ট্রাভিস কিং নামের ওই সেনার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়নি।
ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের কমান্ডার অ্যাডমিরাল জন অ্যাকুইলিনো বলেছেন, তিনি উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।
তিনি বলেছেন, কোনো অনুমোদন ছাড়াই ওই সেনা স্বেচ্ছায় কাজটি করেছে। ঘটনাটি মার্কিন বাহিনী কোরিয়া তদন্ত করছে।
বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস নিউজের মতে, নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ট্রাভিস কিং সিউলের বিমানবন্দর অতিক্রম করেছিলেন। তবে কোনোভাবে টার্মিনাল ছেড়ে তিনি সীমান্তে যেতে সক্ষম হন। সেখান দিয়েই তিনি সীমান্ত অতিক্রম করে উত্তর কোরিয়া যান।
মার্কিন সামরিক বাহিনী বলেছে, ওই সেনা নিজের ইচ্ছায় এবং অনুমোদন ছাড়া এই কাজ করেছেন।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী সিবিএসকে বলেছেন, তারা সীমান্তের একটি ভবন (পানমুনজোমের যুদ্ধবিরতি গ্রাম) পরিদর্শন করেছেন। হঠাৎ ট্রাভিস কিং হাসতে হাসতে কিছু ভবনের মাঝখানে চলে যান। প্রথমে ভেবেছিলাম এটি রসিকতা। কিন্তু যখন তিনি ফিরে আসেননি, বুঝতে পেরেছিলাম এটি রসিকতা নয়। তিনি ইচ্ছে করেই এই কাজ করেছেন।
এদিকে মার্কিন সেনা আটকের কয়েক ঘণ্টা পর উত্তর কোরিয়া নিকটবর্তী সাগরে দুটি সন্দেহভাজন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এক বিবৃতিতে পেন্টাগনের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ট্রাভিস কিং ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে মার্কিন সেনাবাহিনীতে কাজ করছেন। তিনি একজন অশ্বারোহী স্কাউট।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২৩
এমএইচএস