উত্তর মিয়ানমারের একটি পাথর খনিতে ভূমিধসে অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১৬ আগস্ট) স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে রোববার (১৩ আগস্ট) দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় কাচিন রাজ্যের প্রত্যন্ত ও পার্বত্য শহরে এই ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন হাপাকান্ট ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা সা তায় জা।
তিনি জানান, উদ্ধার করা মরদেহগুলোর মধ্যে সবাই পুরুষ। তাদের সবার মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মায়ানমারের রাষ্ট্র-চালিত গণমাধ্যম গ্লোবাল নিউ লাইট জানিয়েছে, গত কয়েকদিনে হওয়া ভারি বর্ষণের কারণে সেখানে একটি বালির পাহাড় ধসে পাশের একটি হ্রদের পানি বেড়ে গেছে এবং এর ফলে খনির শ্রমিকরা আটকা পড়েছেন।
গত কয়েকদিনে মিয়ানমারে প্রচণ্ড বৃষ্টি ও এর কারণে বন্যা হয়েছে। এরই জের ধরে গত রোববার (১৩ আগস্ট) দেশটির উত্তর কাচিনের হাপাকান্ট শহরের বাইরে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, ধসে যাওয়া মাটির পাহাড়টির উচ্চতা ছিল প্রায় ১৫০ থেকে ১৮০ মিটার। তীব্র বৃষ্টিপাতের ফলে সেটি আলগা হয়ে গিয়ে ধসে পড়ে।
মিয়ানমারে জেড মাইনিং বা পাথরের খনির ব্যবসা অনেক লাভজনক। বিশ্বের প্রায় ৭০ শতাংশ পাথর উৎপাদন করে দেশটি এবং হাপাকান্ট তার মধ্যে অন্যতম একটি খনি। তবে ২০২০ সালে অনিয়ন্ত্রিত এই খাতে ওই একই এলাকায় ভূমিধসে ১৬০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এর পরে ২০২১ সালেও একই এলাকায় আরেকটি মারাত্মক বিপর্যয় ঘটেছিল। এছাড়া সেখানে ঘন ঘন শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
তথ্যসূত্র: সিএনএন
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২৩
এফআর