ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

নবজাতককে ইনজেকশনের বাতাস ঢুকিয়ে হত্যা করতেন নার্স

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২৩
নবজাতককে ইনজেকশনের বাতাস ঢুকিয়ে হত্যা করতেন নার্স

লুসি লেটবি, ৩৩ বছর বয়সী এ নারী একজন নার্স। ইংল্যান্ডের একটি হাসপাতালের নবজাতক পরিচর্যা ইউনিটে দায়িত্ব পালন করতেন তিনি।

মহান এ পেশায় থেকে তিনি গর্হিত কাজ করতেন, যা কোনোদিনই মাফযোগ্য নয়। এক বছরে সাতটি নবজাতককে হত্যা করেছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে আরও ছয় শিশুকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগও উঠেছে।

নিজের অপকাণ্ডের কারণে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন লুসি লেটবি। যুক্তরাজ্যে সবচেয়ে ভয়ানক শিশু হত্যাকারী হিসেবেও তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ২০১৫ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে কাউন্টেস অব চেস্টার হসপিটালে কাজ করতেন লুসি লেটবি। সাধারণত রাতের শিফটে নবজাতক পরিচর্যা ইউনিটে দায়িত্ব পালন করতেন তিনি। তার দায়িত্ব ছিল নবজাতকদের দেখভাল। কিন্তু তিনি শিশুদের হত্যা করতেন।

খবরে আরও বলা হয়, ২০১৫ সালের জুন থেকে অক্টোবরের মধ্যে পাঁচ নবজাতককে হত্যা করেন লুসি। বাকি দুই নবজাতককে খুন করেন ২০১৬ সালের জুনে।

২০১৫ সালের অক্টোবরে কাউন্টেস অব চেস্টার হসপিটালের এক চিকিৎসক লুসির ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করে। তবে এ নার্সের ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কঠোর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। কারণ, তিনি শিশুদের এমনভাবে হত্যা করেছিলেন, কোনো ক্লু রাখেননি। তাই বিষয়টি শনাক্ত করে পুলিশকে জানাতেও দেরি হয়ে যায়।

অভিযোগ আছে, যে নবজাতকগুলো হত্যার শিকার হয়েছে, তারা অসুস্থ বা প্রিম্যাচিউর ছিল। লুসি তাদের শরীরে ইনজেকশন দিয়ে বাতাস ঢুকিয়ে হত্যা করতেন। অনেককে অতিরিক্ত দুধ খাইয়ে আবার কাউকে ইনসুলিন দিয়ে হত্যা করেছেন।

এসব ঘটনা সামনে আসার পর গ্রেপ্তার হন লুসি। ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে তার বিচার শুরু হয়। উত্তর ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার ক্রাউন কোর্টে ২২ দিন ধরে আলোচনার পর তার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত রায় দেওয়া হয়। পাঁচ ছেলে ও দুই মেয়েশিশুকে হত্যায় অভিযুক্ত হন তিনি। আরও কজনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগেও তাকে অভিযুক্ত করা হয়।

ম্যানচেস্টার ক্রাউন কোর্টের মামলায় লুসি লেটবিকে সবচেয়ে ঠাণ্ডা মাথার সিরিয়াল শিশু হত্যাকারীদের একজন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২৩
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।