উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন রোববার রাশিয়া ছেড়েছেন। ব্যক্তিগত সাঁজোয়া ট্রেনে তিনি রাশিয়া ছাড়েন।
করোনাভাইরাস মহামারির পর এটি কিমের প্রথম সরকারি বিদেশ সফর। এই সফর পশ্চিমাদের ভয়কে উসকে দিয়েছে। তাদের ভয়, মস্কো ও পিয়ংইয়ং নিষেধাজ্ঞা অমান্য করবে এবং একটি অস্ত্র চুক্তি করবে।
বার্তা সংস্থা আরআইএ নভোস্তি রাশিয়া থেকে কিমের প্রস্থানের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। এটি বলছে, প্রস্থান অনুষ্ঠান আর্তিয়ম- প্রিমোরস্কি-১ স্টেশনে অনুষ্ঠিত হয়। বার্তাসংস্থা তাস বলছে, কিমের ট্রেনটি সীমান্তের দিকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরত্বে যাচ্ছে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, রাশিয়ার প্রতিনিধিদলের দিকে হাত নেড়ে বিদায় জানাচ্ছেন। এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন, খনিজ সম্পদমন্ত্রী আলেক্সান্ডার কোজোলভ।
রোববার সকালে বার্তাসংস্থা তাস জানিয়েছিল, কিমকে আঞ্চলিক গভর্নরের পক্ষ থেকে উপহার হিসাবে পাঁচটি বিস্ফোরক ড্রোন, একটি রিকনেসান্স ড্রোন এবং একটি বুলেট প্রতিরোধী পোশাক দেওয়া হয়।
তাস জানায়, উত্তর কোরিয়ার এই নেতা পাঁচটি কামিকাজে ড্রোন এবং একটি গেরান-২৫ নিরীক্ষা ড্রোন নিয়েছেন।
বার্তাসংস্থাটি আরও বলেছে, চীন ও উত্তর কোরিয়ার সীমান্তবর্তী প্রিমোরি অঞ্চলের গভর্নর কিম জং উনকে বুলেট প্রতিরোধী পোশাক এবং থার্মাল ক্যামেরায় শনাক্ত করা যায় না, এমন পোশাক দেওয়ার প্রস্তাব করেন।
শনিবার কিম রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ভ্লাদিভস্তকে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে তিনি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন অত্যাধুনিক অস্ত্র দেখেন।
মস্কো ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য উত্তর কোরিয়ার গোলাবারুদ কিনতে আগ্রহী বলে মনে করা হয়। অন্যদিকে পিয়ংইয়ং তার আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দিত ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির উন্নয়নে রাশিয়ার সাহায্য চায়।
ক্রেমলিন জানিয়েছে, কোনো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি বা হবে।
রোববার ভ্লাদিভস্তকে অধ্যয়নরত উত্তর কোরিয়ার ছাত্রদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন কিম।
উত্তর কোরিয়ার বার্তা সংস্থা কেসিএনএ বলেছে যে, উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে বন্ধুত্ব, সংহতি ও সহযোগিতার নতুন যুগ শুরু হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৩
আরএইচ