মালদ্বীপে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোটে ৫৪ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন বিরোধী দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসের (পিএনএস) প্রার্থী মোহামেদ মুইজ্জু। মালদ্বীপে প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া এ দুই প্রার্থীর মধ্যে গতকাল শনিবার(৩০ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় দফার ভোট হয়।
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটে কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পেলে নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়ায়। প্রথম দফার নির্বাচনে মুইজ্জু পেয়েছিলেন ৪৬ শতাংশ ভোট বিপরীতে সলিহের ভোট ছিল ৩৯ শতাংশ। প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী প্রার্থীর মধ্যে শনিবার দ্বিতীয় দফার ভোট অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার রাতে ভোটের ফলাফল গণনা শেষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট মালদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টির (এমডিপি) ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ এই সময় মোহামেদ মুইজ্জুকে অভিবাদনও জানিয়েছেন তিনি।
ভারত-চীন আঞ্চলিক দ্বৈরথের ছায়ায় অনুষ্ঠিত মালদ্বীপের এবারের নির্বাচনে ৬১ বছর বয়সী মোহাম্মদ সলিহ জয়ী হলে দ্বীপ দেশটিতে নয়াদিল্লি প্রভাব ধরে রাখতে পারবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। অপরদিকে তুলনা মূলক কম বয়সী মোহামেদ মুইজ্জু (৪৫) এবং তার দল চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড অবকাঠামো কর্মসূচিতে নিজ দেশকে অন্তর্ভুক্ত করতে আগ্রহী। সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিনও চীনঘেঁষা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি মালদ্বীপে উন্নয়ন প্রকল্পে চীনের কাছ থেকে প্রচুর ঋণ নিয়েছিলেন।
ইয়ামিনের জায়গায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মুইজ্জু। নির্বাচনের আগে মোহামেদ মুইজ্জু জানিয়ে ছিলেন তিনি নির্বাচিত হলে দুর্নীতির দায়ে ১১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এবং কারাবন্দী ইয়ামিনকে মুক্ত করবেন।
ভারত মহাসাগরে মালদ্বীপের অবস্থান কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচলের রুটের কাছাকাছি দেশটিতে নিজেদের প্রভাব বাড়াতে ভারত ও চীন অনেকটা খোলামেলা প্রতিযোগিতায় নেমেছে। ২০১৮ সালে ইয়ামিনের হটিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন ৬১ বছর বয়সী সলিহ।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০২৩
এমএম