উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন রাশিয়ার ভাড়াটে ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন।
গত ২৩ আগস্ট মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে যাওয়ার পথে তার ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়।
ওই সময় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দাবি করা হয়, ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছিল প্রিগোজিন উড়োজাহাজ।
যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর দাবি, পুতিনের নির্দেশেই প্রিগোজিনকে হত্যা করা হয়েছে।
ওয়াগনারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট টেলিগ্রাম চ্যানেল গ্রে জোন জানিয়েছিল, প্রিগোজিনের মালিকানাধীন প্রাইভেট উড়োজাহাজটি রুশ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছিল।
যদিও এসব দাবিকে ‘মিথ্যা’ হিসেবে অভিহিত করেছে মস্কো।
এবার ওয়াগনার বাহিনীর প্রধানের মৃত্যু নিয়ে কথা বললেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
রুশ প্রেসিডেন্টের, ক্ষেপণাস্ত্র নয় উড়োজাহাজে ভেতরে গ্রেনেড বিস্ফোরণে প্রিগোজিনের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাশিয়ার সোচি শহরে ভালদাই ডিসকাশন ক্লাবের এক সভায় পুতিন বলেন,‘দুর্ঘটনায় নিহতদের দেহে হাতবোমার টুকরো পাওয়া গেছে। বিমানটিতে কোনো বাহ্যিক ক্ষতির চিহ্ন ছিল না - এটি ইতোমধ্যেই প্রতিষ্ঠিত সত্য। বিমানটি গুলি করা হয়েছিল বলে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। ’
যদিও উড়োজাহাজটিতে কী কারণে বা কীভাবে গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়েছিল, সেই বিষয়টি পরিষ্কার করতে পারেননি পুতিন।
তবে দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের শরীরে অ্যালকোহল এবং ড্রাগ পরীক্ষা না করা তদন্তকারীদের ভুল ছিল বলে জানান তিনি।
পুতিন বলেন, ‘আমার মতে, এই ধরনের একটি পরীক্ষা করা উচিত ছিল, কিন্তু তা হয়নি। ’
এ বিষয়ে পুতিন দাবি করেন, দুর্ঘটনার পরে সেন্ট পিটার্সবার্গে ওয়াগনারের অফিসে তল্লাশি করে ১০ বিলিয়ন রুবল এবং ৫ কেজি কোকেন পেয়েছে নিরাপত্তা সংস্থা এফএসবির সদস্যরা।
দুর্ঘটনার পর বার্তাসংস্থা তাস জানিয়েছিল, প্রিগোজিনকে বহন করা এমব্রায়ের লিগ্যাসি উড়োজাহাজে আগুন ধরে মাটিতে গিয়ে পড়ে। উড়োজাহাজটি আধ ঘণ্টারও কম সময় উড্ডয়ন করেছিল। এতে থাকা প্রিগোজিনসহ ৮ জনের মৃত্যু হয়।
এরপর উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়। জরুরি সেবাদান সংস্থা ঘটনাস্থলে অনুসন্ধান চালায়।
একসময় ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন প্রিগোজিন। গত ২৩ জুন প্রিগোজিন রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করলে পুতিনের সঙ্গে তার দূরত্ব বাড়ে। সম্পর্ক বন্ধু থেকে শত্রুতে পরিণত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০২৩
এসএএইচ