ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

অ্যাশকেলনের বাসিন্দাদের শহর ছেড়ে যেতে বলল হামাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২৩
অ্যাশকেলনের বাসিন্দাদের শহর ছেড়ে যেতে বলল হামাস

ফিলিস্তিনে হামাস ও ইসায়েলের মধ্যে যুদ্ধ ক্রমশই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। দুই বাহিনীর কেউ কাউকে ছাড় দিচ্ছে না।

ফিলিস্তিন থেকে হামাসকে উপড়ে ফেলা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। অপর দিকে হামাসও ছেড়ে কথা বলছে না। হাতের কাছে বিপক্ষের কোনো শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা বা সাধারণ নাগরিক পাচ্ছে, ধরে নিয়ে যাচ্ছে। ফিলিস্তিনে হামলা বন্ধ না হলে বন্দীদের ছাড় দেওয়া হবে না বলেও হুমকি দিয়েছে মুক্তিকামী সশস্ত্র সংগঠনটি।

নতুন করে ইসরায়েলি শহর অ্যাশকেলনে হামলার হুমকি দিয়েছে হামাস। গাজায় ধারাবাহিকভাবে ইসরায়েলের হামলার জবাবে এ হুমকি দিল সংগঠনটি। নিজেদের টেলিগ্রামে পোস্টে হামাস বলেছে, গাজা উপত্যকার উত্তরের শহরে যেসব বাসিন্দারা বসবাস করে তাদের স্থানীয় সময় ৫টার মধ্যে সরে যেতে হবে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ শহর থেকেও ইসরায়েলি লোকজনকে সরে যেতে বলেছে হামাস। তা ছাড়া গাজার বাসিন্দাদের বিমান হামলার শিকার হতে পারে এমন এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলছে সংগঠনটি।

হামাসের হুমকির মধ্যে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, বেয়ার শেভা ও দক্ষিণ ইসরায়েলে রকেট সাইরেন বাজছে।

এদিকে নিজেদের কাছে যেসব ইসরায়েলি বন্দী রয়েছে তাদের নিয়ে যুদ্ধ শেষ না হাওয়া পর্যন্ত কোনো কথা হবে না বলেও হুমকি দিয়েছে হামাস। হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ এ হুমকি দেন।

তিনি বলেছেন, যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলের সঙ্গে জিম্মিদের নিয়ে আলোচনা করবে না। আমাদের প্রতিরোধে বন্দী শত্রুপক্ষের লোকদের ব্যাপারে যারাই যোগাযোগ করেছে, সব পক্ষকেই আমরা বলে দিয়েছে- যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগে এ ফাইলটি খোলা হবে না। এবং এটি তখনই হবে যখন শত্রুপক্ষ বিষয়টি আমলে নেবে।

ইসরায়েল অনুমান করেছে, গত শনিবার দক্ষিণ ইসরায়েল থেকে অপহৃত প্রায় দেড়শ জনকে হামাস ধরে রেখে। এ ব্যাপারে আমরা আগেই জানিয়ে দিয়েছি।

হামাস হুমকি দিলেও নিজেদের অবস্থান থেকে অনড় ইসরায়েল। দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী বলছে, তারা মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) গাজা উপত্যকায় হামাসের ২০০টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

দুই দেশের হামলা-পাল্টা হামলা, প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত হাজারের বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলি দূতাবাস জানিয়েছে শনিবার থেকে অন্তত ১ হাজার ৮ ইসরায়েলি হামাসের হামলায় মারা গেছেন। আহত হয়েছেন অন্তত সাড়ে তিন হাজার মানুষ।

অপরদিকে ইসারয়েলের হামলায় গাজায় মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় আটশ’য় গিয়ে ঠেকেছে। আহতের সংখ্যা সাড়ে ৪ হাজারের বেশি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

হামাস বনাম ইসরায়েলের যুদ্ধে বিদেশিও নিহত হয়েছেন অনেক। আগের একটি হিসাব অনুযায়ী প্রায় ৫০ জন বিদেশি ইসরায়েলে মারা গেছে। নতুন করে গাজা সীমান্তবর্তী এসখোল অঞ্চলে রকেট হামলায় দুজন বিদেশি কর্মী নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন একজন। ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা এ তথ্য জানিয়েছে।

গত শনিবার (৭ অক্টোবর) ইসরায়েলের ভূখণ্ডে নজিরবিহীন ও তীব্র হামলা চালায় সশস্ত্র সংগঠন হামাস। হামলার প্রত্যুত্তরে ইতোমধ্যে গাজা উপত্যকায় পালটা হামলা ও অবরোধের ঘোষণা দেয় ইসরায়েল। সে ধারাবাহিকতায় উপত্যকাটিতে বিমান ও কামানের গোলার হামলা চালাচ্ছে ইহুদি রাষ্ট্রটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২৩
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।