ইসরায়েলে গত সপ্তাহে হামাসের হামলায় নিহতদের মরদেহ পরীক্ষা করেছে দেশটির সামরিক ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দল। পরীক্ষায় মরদেহে নির্যাতন, ধর্ষণ ও নৃশংসতার একাধিক আলামত পাওয়া গেছে বলে দাবি করা হয়েছে।
শনিবার ইসরায়েলের সামরিক কর্তৃপক্ষ এমনটিই দাবি করে।
তারা জানায়, মধ্য ইসরায়েলের রামলায় একটি সেনা ঘাঁটিতে প্রায় ১৩০০ মরদেহ আনা হয়েছে। যেখানে মৃতদের পরিচয় এবং তাদের মৃত্যুর পরিস্থিতি নির্ধারণের জন্য ফরেনসিক পরীক্ষা করেছে বিশেষজ্ঞ দল।
শনাক্তকরণ তত্ত্বাবধানকারী কর্মকর্তা ও সাবেক সেনা প্রধান রাবাই ইসরায়েল ওয়েজ বলেন, হামলায় নিহত প্রায় ৯০ শতাংশ সেনা সদস্যের মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়া নিহত বেসামরিক লোকদের মরদেহ শনাক্তের কাজ অর্ধেকের পথে রয়েছে।
তিনি বলেন, অনেক মরদেহে ধর্ষণের পাশাপাশি নির্যাতনের আলামত পাওয়া গেছে।
ইসরায়েলি বাহিনীর রিজার্ভ ফোর্সের ওয়ারেন্ট অফিসার আভিগাইল জানান, অনেক মরদেহ হাতা পা কাটা অবস্থায় ছিন্নবিচ্ছিন্ন ছিল। শিরশ্ছেদ করা মরদেহও উদ্ধার। এমন অবস্থার এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, হিমায়িত অবস্থায় রাখা মরদেহে ফরেনসিক পরীক্ষায় ধর্ষণের একাধিক আলামত পাওয়া গেছে।
সামরিক ফরেনসিক বিভাগের দন্তচিকিৎসক ক্যাপ্টেন মায়ান বলেন, আমরা গুরুত্বের সঙ্গে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বন্দুকের গুলি ও নির্যাতনের আলামত পেয়েছি। তবে সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে এসব পরীক্ষা নিরীক্ষা বা আলামতের কোনো ছবি প্রকাশ করা হয়নি।
তবে ইসরায়েলে হামলাকারী হামাস নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামাসকে ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে তুলনা করেছেন। কারণ হামাস সিরিয়া ও ইরাকের মতো দেশে প্রকাশ্যে শিরশ্ছেদ করে বিশ্বব্যাপী কুখ্যাতি অর্জন করেছে।
হামাস সদস্যরা গত ৭ অক্টোবর আকস্মিক ইসরায়েলে হামলা পরিচালনা করলে পুরো ফিলিস্তিনজুড়ে পাল্টা হামলা পরিচালনা শুরু করে ইসরায়েল।
৭ থেকে ১৩ অক্টোবরের এ ৬ দিন গাজা উপত্যকায় অন্তত ৬ হাজার বোমা ফেলেছে ইসরায়লি বিমানবাহিনী। এ হামলায় হামাসের অন্তত ২০০টি ঘাঁটি ও স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করছে ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ।
সূত্র: রয়টার্স
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২৩
জেএইচ