গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। যে কারণে নাগরিকদের ‘যত দ্রুত সম্ভব’ মিশর ও জর্ডান ছাড়তে বলেছে ইসরায়েল।
শনিবার (২১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারের সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ মিশর (সিনাইসহ) ও জর্ডানে তাদের ভ্রমণ সতর্কতা ‘উচ্চ হুমকিতে’ (লেভেল-৪) উন্নীত করেছে। এক বিবৃতিতে এ সতর্কতা উল্লেখ করে দেশ দুটিতে ভ্রমণ না করার সুপারিশ ও সেখানে অবস্থানকারীদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিরে আসার জন্যও আহ্বান জানিয়েছে।
মিশর-জর্ডানের পাশাপাশি মরক্কোর ব্যাপারেও সতর্ক ইসরায়েল। এ দেশটির জন্য হুমকির মাত্রা লেভেল-৩ এ উন্নীত করা হয়েছে। পাশাপাশি মরক্কোয় অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়াতে পরামর্শ দিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা পরিষদ।
ইসরায়েলের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর দাবি, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর গাজায় শুরু হওয়া ক্রমাগত যুদ্ধের কারণে ইসরায়েলি ভ্রমণকারীরা সশস্ত্র সংগঠনটির লক্ষ্যবস্তু হবে- এ আশঙ্কায় সতর্কতা ঘোষণা করেছে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, যুদ্ধের ধারাবাহিকতার কারণে সাম্প্রতিক দিনগুলোয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও উল্লেখযোগ্য উত্তেজনা দেখা গেছে।
ইসরায়েলি ও ইহুদি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে শত্রুতা-সহিংসতার প্রদর্শন করা হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলোয় এ ব্যাপারে জোর দেওয়া হচ্ছে।
ইসরায়েলি জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতিতে তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনসহ অন্যান্য আরব দেশে অবস্থান থেকে সরে আসতে বলা হয়েছে নাগরিকদের। একই সঙ্গে মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া ও মালদ্বীপসহ আশপাশের দেশগুলোয় ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে।
হামাসের হামলার পর থেকে ধারাবাহিকভাবে গাজায় আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। বিমান হামলার পাশাপাশি জল ও স্থল পথে আগ্রাসনের প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটি। তার আগে বিভিন্ন দেশে থাকা নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি।
উল্লেখ্য, অবরুদ্ধ গাজায় দুই সপ্তাহের বিমান হামলায় ৪ হাজার ১০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। ১৪০০ মানুষ নিহত হয়েছে ইসরায়েলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২৩
এমজে