ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ৪০০ ফিলিস্তিনি মারল ইসরায়েল 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২৩
গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ৪০০ ফিলিস্তিনি মারল ইসরায়েল  ইসরায়েলি বোমা হামলায় আহত ফিলিস্তিনিরা গাজা উপত্যকার আল-শিফা হাসপাতালে বসে আছে। (ফাইল ছবি: এপি)

অবরুদ্ধ গাজায় হামলা আরও জোরদার করেছে ইসরায়েল। এসব হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

খবর আলজাজিরার

এ তথ্য দিয়ে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেছেন, গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে গাজায় চালানো হামলাগুলোর মধ্যে রোববারের (২২ অক্টোবর) বোমা হামলার মাত্রা ছিল সবচেয়ে ভয়ংকর। রোববারের রাতকে ‘সবচেয়ে মারাত্মক রাত’ বলে বর্ণনা করেছেন তারা।

ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, গাজার আবাসিক এলাকায় রাতভর বোমাবর্ষণ করেছে  ইসরায়েলি বাহিনী। জাবালিয়া শরণার্থী শিবির, উত্তরে বাইত লাহিয়া, আল-রিমাল, পশ্চিমে আল শাতি ক্যাম্প, পাশাপাশি দক্ষিণে খান ইউনিস এবং রাফাহে অনবরত বোমা হামলা চালানো হয়েছে।

ওয়াফা জানিয়েছে, কোনো সতর্কবার্তা না দিয়েই বেসামরিক স্থাপনায় বোমা ফেলা হচ্ছে। এতে প্রতিদিনই হতাহত হচ্ছে অসংখ্য মানুষ।

গত রাতে ইসরায়েলি বোমা হামলায় গাজায় বিপর্যয়কর মানবিক পরিস্থিতিকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। আক্রান্ত এলাকার বাসিন্দাদের খাদ্য ও চিকিৎসা সরবরাহ ব্যাপক বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলমান যুদ্ধে গাজায় নবজাতকরা জীবনের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রোববার সতর্ক করে জাতিসংঘ বলেছে, ইসরায়েলের অবরোধের কারণে গাজায় হাসপাতালগুলোতে জ্বালানি শেষ হওয়ার পথে। এসব হাসপাতালের ইনকিউবেটরে কমপক্ষে ১২০ নবজাতকের জীবন ঝুঁকিতে এখন।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় ইতোমধ্যে ১৭৫০ টির বেশি শিশু নিহত হয়েছে।

শুধু শিশুই নয়; নিয়মিত রোগীদের জন্য ওষুধ, জ্বালানি এবং পানি চরম সংকটে পড়েছে হাসপাতালগুলো। ব্যাপক বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে গাজা।

ইউনিসেফের মুখপাত্র জোনাথন ক্রিকক্স বলেছেন, বর্তমানে ১২০ নবজাতক ইনকিউবেটরে রয়েছে। এদের মধ্যে ৭০ নবজাতক রয়েছে ভেন্টিলেশনে। বিষয়টি নিয়ে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।

ব্যাপক বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মধ্যে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও বৃহস্পতিবার সতর্ক করেছে যে হাসপাতালগুলিতে ইতিমধ্যে জেনারেটরের জন্য জ্বালানি শেষ হয়ে গেছে।
হু বলছে, হাসপাতালগুলিতে ইতোমধ্যে জ্বালানি শেষ হয়ে গেছে। জেনারেটর বন্ধ হয়ে গেলে ১ হাজার ডায়ালাইসিসের রোগী ঝুঁকি থাকবে।

শনিবার মিশর থেকে ২০ ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করলেও ওই চালানে কোনো জ্বালানি ছিল না।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।