স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার হামজা ইউসুফ জানিয়েছেন, তার স্ত্রীর বাবা-মা ও অন্যান্য সদস্যরা ফিলিস্তিনের গাজায় ‘নির্যাতনের’ মধ্য দিয়ে বসবাস করছেন।
হামজা ইউসুফ স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির নেতা।
নাদিয়া ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত। তার বাবা ম্যাগেদ ও এলিজাবেথ এল-নাকলা ফিলিস্তিনেই বসবাস করেন। হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার পর তারা গাজা উপত্যকায় পরিস্থিতিতে আটকা পড়েছেন।
হামজা ইউসুফ আল জাজিরাকে বলেন, আমার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা গাজা উপত্যকায় গাজায় নির্যাতনের মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করছেন। ম্যাগেড ও এলিজাবেথ (হামজার শ্বশুর-শাশুড়ি) ১০০ জনের সঙ্গে থাকছেন। তাদের কাছে মাত্র ছয় বোতল পানি আছে। শতজন মানুষের মধ্যে দুই মাস বয়সী একটি শিশুও রয়েছে। আমার স্ত্রীর বাবা-মা জানেন তা তারা এক রাত পার করার পর দ্বিতীয় রাত দেখতে পারবেন কিনা।
উল্লেখ্য, চলতি বছর হামাস ও ইসরায়েল যুদ্ধকালীন হামজা ইউসুফই প্রথম কোনো পশ্চিমা নেতা যুদ্ধবিরতি ও গাজার জন্য মানবিক করিডোর প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা করে দক্ষিণ ইসরায়েলে। এরপরই পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন ইসরায়েল। গাজায় ঢুকে অবর্ণনীয় আগ্রাসন চালাতে শুরু করে ‘দেশটির’ সেনাবাহিনী। তিন দিন পর অর্থাৎ গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি ও গাজার জন্য মানবিক করিডোর প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান হামজা ইউসুফ। ব্রিটিশ সরকারকে তার বার্তা প্রচার করতে বলেন তিনি।
পরে আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমি পুরোপুরি বুঝতে পারছি কেন ইসরাইল সন্ত্রাস থেকে নিজেকে রক্ষা করতে চায়। কিন্তু ফিলিস্তিনের নারী-পুরুষ-শিশুরাতো সম্মিলিত শাস্তি পেতে পারে না। এটি ন্যায়সঙ্গত হতে পারে না।
আগামী দিনগুলোয় তিনি ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের নেওয়ার জন্য যুক্তরাজ্যকেও আহ্বান জানিয়েছেন। স্কটল্যান্ডকে এ ব্যাপারে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে প্রথম হতে হবে বলেও প্রস্তাব রেখেছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২৩
এমজে