জার্মানির উত্তরাঞ্চলীয় হামবুর্গ শহরের বিমানবন্দরে এক মেয়েকে জিম্মি করার ঘটনায় সেখান থেকে ফ্লাইট চলাচল স্থগিত রয়েছে।
জানা গেছে, অস্ত্রধারী এক ব্যক্তি নিজের গাড়িতে একটি মেয়েকে নিয়ে গেট পার হয়ে বিমানবন্দরে ঢুকে পড়েন।
এ ঘটনার পর শনিবার রাতেই বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়।
অস্ত্রধারী ব্যক্তির সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। পরিস্থিতি সামলাতে ব্যাপকসংখ্যক পুলিশ এবং জার্মানির বিশেষ বাহিনী এসডব্লিওএটির সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, তারা ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে একটি সমাধান বের করার চেষ্টা করছে।
পুলিশ বলছে, এটি একটি ভালো দিক, অস্ত্রধারী ওই ব্যক্তির সঙ্গে লম্বা সময় ধরে আলোচনা চলছে এবং সে আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চায়।
সামাজিকমাধ্যম এক্সে পুলিশ জানায়, অভিযান চলছে৷ গাড়িতে থাকা ব্যক্তির সাথে আমাদের আলোচক দল যোগাযোগ করছে।
এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে যাত্রী ও সাধারণ মানুষকে বিমানবন্দর থেকে দূরে থাকতে বলেছে পুলিশ।
বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা জানান, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ফ্লাইট থাকবে।
বিমানবন্দরের দিকে চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
কর্তৃপক্ষের ধারণা, সন্তান কার কাছে থাকবে সে বিষয়ে বিবাদে লিপ্ত ছিলেন সেই ব্যক্তি। রোববার তার স্ত্রী পুলিশকে সম্ভাব্য শিশু অপহরণের বিষয়ে জানান এবং এর কিছুক্ষণ পরই ওই ব্যক্তি গাড়ি নিয়ে বিমানবন্দরে প্রবেশ করেন।
পুলিশ জানায়, প্রবেশের সময় ওই ব্যক্তি দুই রাউন্ড গুলি এবং এক ধরনের মলটোভা ককটেল নিক্ষেপ করেন। এরপর টার্কিশ এয়ারলাইনসের বিমানে পাশে গিয়ে অবস্থান নেন।
পুলিশের এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা ডিপিএকে জানান, অস্ত্রধারী ওই ব্যক্তির সাথে তুর্কি ভাষায় আলোচনা চলছে। ৩৫ বছরের ওই ব্যক্তি তুরস্কের নাগরিক বা জার্মানিতে বসবাসরত তুর্কি সম্প্রদায়ের কি না, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
এদিকে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে টার্কিশ এয়ারলাইনসসহ বেশ কয়েকটি বিমানের যাত্রীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরের টার্মিনাল বিল্ডিং থেকেও সবাইকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
অন্তত তিন হাজার ২০০ যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েছেন। তাছাড়া ৬০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
সূত্র: ডয়চে ভেলে
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০২৩
আরএইচ