রাশিয়া, তুরস্ক, ইরান ও পাকিস্তানের নেতারা মধ্য এশিয়া সফর করছেন। এ অঞ্চলে বৈশ্বিক শক্তিগুলো তাদের প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার সকালে কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় অবতরণ করেন। কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কাশিম-জোমার্ট তোকায়েভের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সফরের এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই সেখানে গেলেন পুতিন। ম্যাক্রোঁর সফরের উদ্দেশ্য ছিল অর্থনৈতিক সহযোগিতা ত্বরান্বিত করা।
এদিকে, আঞ্চলিক অর্থনৈতিক শীর্ষ সম্মেলনের জন্য বৃহস্পতিবার উজবেকিস্তান সফর করছেন তুরস্কের নেতা রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার উল হক কাকার।
সোভিয়েত দেশগুলো এ অঞ্চলে রাশিয়ার দখল কমে যাওয়ার সঙ্গে নতুন অংশীদারত্বের জন্য কীভাবে উন্মুক্ত হচ্ছে, এসব সফর তা-ই নির্দেশ করে।
পুতিন ও তোকায়েভ আস্তানায় তাদের পরিকল্পিত বৈঠকের আগে তাদের দেশের সম্পর্কের প্রশংসা করেন। পুতিন বলেন, আমাদের কৌশলগত অংশীদারত্ব সত্যিই দূরদর্শী।
সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার ৩০ বছরের বেশি সময় পর রাশিয়া ২০ মাস ধরে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে জড়িয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে কাজাখস্তানসহ মধ্য এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলো বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে অংশীদারত্ব গড়তে চাইছে।
১৫০টি দেশে বিস্তৃত বিশাল অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের কারণে চীন সমগ্র অঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্রীড়নক হয়ে উঠেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, ইরান ও তুরস্ক মধ্য এশিয়ায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
বৃহস্পতিবার তাসখন্দে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এবং মধ্য এশিয়ার নেতাদের সঙ্গে ইরান ও তুরস্কের নেতারাও যোগ দিতে প্রস্তুত।
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে মাসব্যাপী যুদ্ধ চলার মধ্যেই শীর্ষ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গাজা সংঘাত এই সম্মেলনের এজেন্ডায় থাকবে না বলে উজবেকিস্তান জানিয়েছে।
শীর্ষ সম্মেলনে বেশিরভাগ আলোচনায় বাণিজ্য, মানবিক সহযোগিতা ও যোগাযোগের ওপর নজর দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মধ্য এশিয়ার দেশগুলো স্থলবেষ্টিত। এসব দেশ পাকিস্তান হয়ে সমুদ্রের নাগাল পেতে চাইছে।
রাশিয়া এই অঞ্চলে চাপের মধ্যে রয়েছে। তবে দেশটি প্রধান অংশীদার হিসেবেই রয়ে গেছে। ইউক্রেনের পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসনের ফলে নিষেধাজ্ঞার কারণে ইউরোপের বেশিরভাগ বাজার থেকে সরে এসে মস্কো জ্বালানি খাতে নতুন করে বিনিয়োগ করেছে।
রাশিয়া কাজাখস্তান হয়ে উজবেকিস্তানে গ্যাস সরবরাহ চালুসহ বিশাল জ্বালানি প্রকল্প চালু করেছে। মস্কো বিভিন্ন দেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের বিষয়েও আলোচনা করছে।
সূত্র: আল জাজিরা
বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০২৩
আরএইচ