আর্জেন্টিনার নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হ্যাভিয়ার মিলেইয়ের দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য দায়ানা মোন্দিনো জানিয়েছেন, তার দেশ ব্রিকসে যোগ দিচ্ছে না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে তিনি এই তথ্য জানান।
আর্জেন্টিনায় ডানপন্থীদের উত্থানে পররাষ্ট্রনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের আভাস আগেই পাওয়া গিয়েছিল। মিলেই তার নির্বাচনী প্রচারণায় চীনের সমালোচনায় মুখর ছিলেন। ওই সময় এক সাক্ষাৎকারে মিলেই বলেছিলেন, তিনি কখনো কমিউনিস্টদের সঙ্গে ব্যবসা করবেন না। তবে তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন বড় সমর্থক, নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি বলেছিলেন, জয় পেলে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াবেন। মিলেই ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলারও একজন বড় সমালোচক।
মিলেই নির্বাচিত হওয়ার পরপরই মোন্দিনো ব্রিকসে যোগদানের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার কথা জানিয়েছিলেন। দু সপ্তাহ আগে এক সাক্ষাৎকারে মোন্দিনো বলেছিলেন, ব্রিকসে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যের চেয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যই মুখ্য। তাছাড়া এর সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে আর্জেন্টিনার বাণিজ্য সম্পর্ক ইতোমধ্যেই বিদ্যমান।
আগস্টের সম্মেলনে ছয়টি দেশকে এই জোটে যুক্ত হওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়। আমন্ত্রণ পাওয়া এসব দেশ হচ্ছে- সৌদি আরব, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আর্জেন্টিনা, মিসর এবং ইথিওপিয়া। আর্জেন্টিনার বর্তমান প্রশাসন এই জোটে যোগ দেওয়ার জন্য লবিং করেছিল বলে এর আগে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২৩
এমএম