ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রায় মারাপি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
রয়টার্সের দেওয়া তথ্যানুসারে, সোমবার (৪ ডিসেম্বর) তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। আরও ১২ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) সুমাত্রায় মারাপি আগ্নেয়গিরির একটি বিশাল অগ্ন্যুৎপাত ঘটে। প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, আগ্নেয়গিরিটির এ অগ্ন্যুৎপাতের সময় ১৫ হাজার মিটারেরও বেশি উচ্চতায় ছাই বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।
বিস্ফোরণের সময় ওই এলাকায় ৭৫ জন পর্বতারোহী ছিল কিন্তু বেশিরভাগকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। মাউন্ট মারাপি ইন্দোনেশিয়ার ১২৭টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির অন্যতম।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় ২ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করেছে। বাসিন্দাদের আগ্নেয়গিরি থেকে কমপক্ষে ৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।
অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলের মুখপাত্র জোডি হরিয়াওয়ান বলেছেন, রোববার অগ্ন্যুৎপাতে নিহত ১১ পর্বতারোহীর মরদেহসহ সোমবার উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ২৮৯১ মিটার উঁচু আগ্নেয়গিরিটি রোববার অগ্ন্যুৎপাতের সময় আকাশে কমপক্ষে ৩ কিলোমিটার উচ্চতায় ছাই ছড়িয়ে পড়ে।
মারাপি আগ্নেয়গিরির সবচেয়ে ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল ১৯৭৯ সালের এপ্রিলে। তখন এ ঘটনায় ৬০ জনের মৃত্যু হয়।
সূত্র: তাস
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২৩
জেএইচ