গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে হামাসের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় এখন পর্যন্ত ২১ হাজার ৬৭২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একই সময় আহত হয়েছেন আরও ৫৬ হাজার ১৬৫ জন ফিলিস্তিনি।
ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় যেসব ঘর-বাড়ি রয়েছে সেগুলোর মধ্যে ৭০ শতাংশই ইসরায়েলিদের হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে। স্যাটেলাইটে তোলা গাজা উপত্যকার ছবি বিশ্লেষণ এবং অন্যান্য রিমোট সেন্সিং পদ্ধতি ব্যবহার করে এই তথ্য বের করেছে তারা।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ইসরায়েলিরা কারখানা, মসজিদ, স্কুল, শপিং মল এবং হোটেলসহ সব ধরনের ভবনে হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী মসজিদ, স্কুল ও অন্যান্য ভবনে হামলা চালানোর তথ্য স্বীকার করেছে। তবে সেগুলোতে সামরিক উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি তাদের।
এদিকে গাজা-মিসর সীমান্তের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গাজার ‘অসামরিকীকরণ’ নিশ্চিত করতেই এমন পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন তিনি।
নেতানিয়াহু শনিবার বলেছেন, ইসরায়েলকে অবশ্যই মিসর-গাজা সীমান্ত করিডোরের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে হবে যাতে ওই অঞ্চলের ‘অসামরিকীকরণ’ নিশ্চিত করা যায়। ফিলাডেলফি করিডোর - বা আরও সঠিকভাবে বলতে গেলে, (গাজার) দক্ষিণের ক্লোজিং পয়েন্ট - অবশ্যই আমাদের হাতে থাকতে হবে। এটি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। এটি স্পষ্ট, অন্য কোনও ব্যবস্থা নিলে সেটি আমরা যে নিরস্ত্রীকরণ চাই তা নিশ্চিত করবে না।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২৩
এমএম