পাকিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানোর কথা স্বীকার করে ইরান বলেছে, নিজ দেশের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীই ছিল ঘটনার মূল লক্ষ্য।
পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমের প্রদেশ বেলুচিস্তানে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে বিমান হামলা চালায় ইরান।
হামলার জেলে প্রতিবেশী দুই দেশে তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। পাকিস্তান তার দেশে থেকে ইরানের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) আল জাজিরার খবরে বলা হয়, সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ফাঁকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান পাকিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানোর কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, হামলাটি ‘ইরানি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে’ লক্ষ্য করে চালানো হয়েছিল। এ ঘটনায় দুটি শিশু নিহত হয়েছে।
পাকিস্তানকে ভ্রাতৃপ্রতিম ও বন্ধু দেশ উল্লেখ করে আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, সেখানকার কোনো নাগরিককে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি। ইরানি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জইশ আল-আদলকে টার্গেট করে হামলাটি চালানো হয়েছিল। দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশের ইরানের রাস্ক শহরে সাম্প্রতিক হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে পাকিস্তানের মাটিতে হামলাটি করা হয়।
এ সময় তিনি দাবি করেন, ইরানি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জইশ আল-আদল পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের কিছু অংশে আশ্রয় নিয়েছে। এ ব্যাপারে তারা পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় একাধিকবার কথা বলেছেন।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে ইরান সব সময় সম্মান করে। কিন্তু দেশের জাতীয় নিরাপত্তার সাথে আপোষ বা কাউকে খেলার অনুমতি দেবে না ইরান।
হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচ বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, হামলাটি অগ্রহণযোগ্য ও পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন। পাকিস্তান এই বেআইনি কাজের জবাব দেওয়ার অধিকার রাখে। তেহরান আকাশসীমার অপ্রীতিকর লঙ্ঘন করায় দুই দেশের মাঝে চলমান অথবা পরিকল্পিত উচ্চ-পর্যায়ের সব ধরনের সফরও স্থগিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ, ইরান দাবি করছে জইশ আল-আদল (আর্মি অব জাস্টিস) একটি সুন্নি মুসলিম সশস্ত্র গোষ্ঠী। এর আগে তারা পাকিস্তানের সাথে সীমান্ত এলাকায় ইরানি নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ৯০০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৪
এমজে