পিপিপি এবং পিএমএলএন অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে জোট সরকার গঠনে সম্মত হওয়ায় আসিফ আলী জারদারি দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হতে পারেন বলে আশা করা হচ্ছে। বুধবার এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে, ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন আসিফ আলি জারদারি।
পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) এবং পিপিপি এরই মধ্যে জোট সরকার গঠনে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। তারই প্রেক্ষিতে পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির বাবা আসিফ আলি জারদারিকে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।
জোটে আরও ৪টি রাজনৈতিক দল। দলগুলো হলো- মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পার্টি (এমকিউএমপি), পাকিস্তান মুসলিম লীগ-কায়েদে আজম (পিএমএলকিউ), ইস্তেকাম-ই পাকিস্তান পার্টি (আইপিপি) এবং বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টি (বিএপি)।
বুধবার পিএমএলকিউ’র চেয়ারম্যান চৌধুরী সুজাত হাসানের বাসভবনে ৬ রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, ৬টি রাজনৈতিক দল জোট সরকার গঠনে ঐকমত্যে পৌঁছেছে এবং পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন আসিফ আলি জারাদারি।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি ১৬তম পার্লামেন্ট নির্বাচন হয়েছে পাকিস্তানে। কিন্তু পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির মোট আসনসংখ্যা ২৬৬টি। এসব আসনের মধ্যে ২৬৫টি আসনে নির্বাচন হয়েছে।
কোনো দল বা জোট যদি সরকার গঠন করতে চায়, তাহলে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অন্তত ১৩৩টি আসনে সেই দল বা জোটকে জয়ী হতে হবে। কিন্তু ৮ তারিখের ভোটের ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, কোনো দলই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সময় এ এমকিউএমপি ছাড়া বাকি ৫টি দলই পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট বা পিডিম নামে একটি রাজনৈতিক জোটের শরিক ছিল।
সূত্র: জিও নিউজ
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪
জেএইচ