সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ঋণের বোঝা বাড়ছে। প্রতি ১০০ দিনে তাদের দেনা প্রায় এক ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়াচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের তথ্য-উপাত্ত বলছে, ৪ জানুয়ারি ঋণের পরিমাণ স্থায়ীভাবে ৩৪ ট্রিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। গেল বছরের ১৫ ডিসেম্বর ঋণ ৩৩ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছে।
এর আগে ১৫ জুন ৩২ ট্রিলিয়ন ডলার স্পর্শ করে। তার আগে ৩১ ট্রিলিয়ন থেকে বাড়তে সময় লেগে যায় প্রায় ৮ মাস।
এই ঋণ মূলত খরচ মেটাতে ফেডারেল সরকারের ধার করা অর্থ। বুধবার এর পরিমাণ ছিল ৩৪ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন। ব্যাংক অব আমেরিকার বিনিয়োগ কৌশলবিদ মাইকেল হারনেট মনে করেন, ৩৪ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে ৩৫ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতেও সেই ১০০ দিনই লাগবে।
গেল বৃহস্পতিবার এক নোটে তিনি লেখেন, সামান্য আশ্চর্যের। ‘ঋণ অবমাননা’ কারবার সর্বকালের সর্বোচ্চ উচ্চতার কাছাকাছি যাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ প্রতি আউন্স সোনা দুই হাজার ৭৭ ডলার, বিটকয়েন ৬৭ হাজার ৭৩৪ ডলার।
স্পট গোল্ডের দাম বর্তমানে প্রতি আউন্স ২ হাজার ৮৪ ডলারের কাছাকাছি, বিটকয়েন ৬১ হাজার ৪৪৩ ডলারের কাছাকাছি। ক্রিপ্টোকারেন্সি ২০২০ সালের পর ফেব্রুয়ারিতে মাসিক হিসাবে সবচেয়ে ভালো অবস্থায় ছিল। বুধবার সাময়িকভাবে লেনদেন ৬৪ হাজার ডলারের বেশি ছিল।
দেশের আর্থিক শক্তির ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির কারণে মুডি’স ইনভেস্টর সার্ভিস গেল নভেম্বরে মার্কিন সরকারের ওপর তার রেটিং আউটলুক স্থিতিশীল থেকে নেতিবাচক পর্যায়ে নামিয়ে আনে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২৪
আরএইচ