উত্তর ইরাকে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টিকে (পিকেকে) দক্ষিণে ঠেলে দিতে এবং নতুন একটি বাণিজ্য-পথ সুরক্ষিত করতে সামরিক হামলা চালাতে চায় তুরস্ক। পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত কয়েকটি সূত্র মিডল ইস্ট আইকে এমনটি জানিয়েছে।
সূত্র বলেছে, তুরস্ক একের পর এক অভিযানে কুর্দিশ সশস্ত্র বাহিনীটিকে টার্গেট করবে।
গত বছরের শেষের দিক থেকে এ পর্যন্ত উত্তর ইরাকের পার্বত্য অঞ্চলে পিকেকের হামলায় তুরস্ক কয়েক ডজন সেনা হারিয়েছে। সেনা নিহতের ঘটনা নিয়ে অভ্যন্তরীণ বিতর্ক তৈরি হওয়ার পাশাপাশি তুরস্কের কৌশলের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
সেনা সূত্র এমইইকে গত বছর বলেছিল, পাহাড়ি অঞ্চলের সাময়িক ফাঁড়িগুলোতে তুরস্কের সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পিকেকেকে তুরস্ক সীমান্তে অনুপ্রবেশে বাধা দিতেই বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
এরপরও পিকেকে তুরস্কের ফাঁড়িগুলোতে হামলা চালাতে পারে। এর কারণ কঠিন শীতকালীন পরিস্থিতি। ভারী তুষারপাত ও কুয়াশা ড্রোনসহ অন্যান্য নজরদারি সরঞ্জাম অকেজো করে দেয়।
এমইই সূত্রে জানা গেছে, ইরাকের পশ্চিম অংশে আধা-স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলে নতুন এ সামরিক অভিযান চালানো হয়। আঙ্কারার মিত্র ইরাকের কুর্দিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টি (কেডিপি) নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোর কাছে এসব অভিযান পরিচালিত হবে। এর মাধ্যমে মসুল শহর দিয়ে পিকেকের প্রবেশ আটকে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪১ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৪
আরএইচ