মালয়েশিয়ায় ভিসার শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০৬ জন বিদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে জোহর বারু অভিবাসন বিভাগ। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ১৩২ জনই বাংলাদেশি।
স্থানীয় সময় শনিবার (২৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম দ্য স্টার।
জোহর ইমিগ্রেশনের পরিচালক বাহারউদ্দিন তাহির জানান, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১০টা ২০ মিনিটে পাসির গুদাংয়ের একটি নির্মাণস্থলে ‘অপস মাহির’ নামে একটি অভিযানের সময় গ্রেপ্তার করা হয়। অপারেশনটি স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়েছিল।
তিনি আরও জানান, অভিযানে মোট ৫৩০ জন বিদেশি ও স্থানীয়র কাগজপত্র যাচাই করা হয়েছিল। এই সংখ্যার মধ্যে ২০৬ জন বিদেশিকে তাদের ভিসার শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
বাহারউদ্দিন আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে বাংলাদেশের ১৩২ জন পুরুষ, চীনের ৫১ জন পুরুষ, মিয়ানমারের ১০ জন, পাকিস্তানের ছয়জন পুরুষ, ইন্দোনেশিয়ার তিনজন পুরুষ, ভিয়েতনামের দুজন পুরুষ এবং চীনের দুজন নারী রয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের বয়স ১৮ থেকে ৬১ এর মধ্যে।
তিনি বলেন, ১৯৫৯/৬৩ সালের ইমিগ্রেশন অ্যাক্টের ধারা ৬(১)(সি) এবং ধারা ১৫(১) (সি) এর অধীনে বৈধ ভ্রমণ নথিপত্র ছাড়াই দেশে প্রবেশ করায় গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে। আমরা একজন স্থানীয় ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করেছি। অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ -এর ৫৬(১)(ডি) ধারায় তার তদন্ত করা হচ্ছে।
এদিকে কুলাইয়ের সেনাই অভিযানে দেশে প্রবেশের পাস না থাকায় ৪৩ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বাহারউদ্দিন বলেন, অপস সাপু এবং অপস সেলেরা নামক অভিযানটি মধ্যরাতে পরিচালিত হয়েছিল এবং আমরা শপলট এলাকায় ১৫টি চত্বরে অভিযান চালাই। এসময় গ্রেপ্তার এড়াতে ভবনের বারান্দায় অবৈধ অভিবাসীরা লুকিয়ে ছিলেন। একজন ব্যক্তি দোকানের কাস্টমার হওয়ার ভান করে আমাদের এনফোর্সমেন্ট দলকে বোকা বানানোর চেষ্টা করেছিলেন।
ওই অভিযানে গ্রেপ্তারদের মধ্যে বাংলাদেশের ৩২ জন পুরুষ ও একজন নারী, ইন্দোনেশিয়ার দুজন পুরুষ ও দুজন নারী, মিয়ানমারের তিনজন পুরুষ ও একজন নারী এবং নেপালের একজন পুরুষ ও একজন নারী রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২৪
এসএএইচ