ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে প্রবল বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে আরও কয়েকজন।
রোববার (১২ মে) এক বিবৃতিতে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা এ তথ্য জানায়। কাতারের সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, নিখোঁজদের খোঁজে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
খবরে বলা হয়েছে, ভারী বৃষ্টির ফলে মাউন্ট মারাপি থেকে আকস্মিক বন্যা ও ঠান্ডা লাভা প্রবাহ শুরু হয়। এতে পশ্চিম সুমাত্রায় বিপর্যয় দেখা দেয়।
উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা বলছেন, পশ্চিম ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির আঘাতে আকস্মিক বন্যা ও ঠান্ডা লাভা প্রবাহ শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি শিশুসহ অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছে। নিখোঁজ হয়েছেন অনেকেই।
রোববার এক বিবৃতিতে বাসারনাস অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী সংস্থা জানিয়েছে, কয়েক ঘণ্টার প্রবল বৃষ্টির পর শনিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টায় পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশের আগাম ও তানাহ দাতার জেলায় বন্যার সৃষ্টি হয়। এ সময় মাউন্ট মারাপি থেকে ঠান্ডা লাভা প্রবাহ শুরু হয়।
ঠান্ডা লাভায় অন্তত ৫টি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া অন্তত ৪৮ টি আবাসন ও ১৬টি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঠান্ডা লাভা লাহার নামে পরিচিত। আগ্নেয়গিরির লাভায় যেসব ছাই, বালি ও নুড়ি মিশ্রিত থাকে, সেটাই বৃষ্টিতে গলে লাহারে পরিণত হয়। সুমাত্রা অঞ্চলের বেশিরভাগ রাস্তা এই লাহারে ডুবে গেছে। রাস্তাগুলো দ্রুত পরিষ্কারের জন্য ভারী সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়েছে। নিখোঁজদের সন্ধান ও আশ্রয়কেন্দ্রে লোকদের নিয়ে যাওয়ার জন্য উদ্ধারকারী ও রাবার বোটের একটি দল পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
নিহতের বিষয়ে প্রাদেশিক উদ্ধারকারী সংস্থার প্রধান আব্দুল মালিক বলেন, বন্যার ঘটনায় তিন শিশু মারা গেছেন। বাকিদের মধ্যে কিশোর, নারী, বৃদ্ধও রয়েছে। আগম জেলায় আরও চার জনের খোঁজ চলছে। আমরা দুই জেলায় তল্লাশি চালিয়ে যাব।
ইন্দোনেশিয়া বর্ষাকালে ভূমিধস ও বন্যার ঝুঁকিতে থাকে। গত সপ্তাহে, দক্ষিণ সুলাওয়েসিতে ভূমিধস ও বন্যার কারণে বাড়িঘর ও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাটে ১৫ জন নিহত হয়। গত মার্চে পশ্চিম সুমাত্রায় ভূমিধস ও বন্যায় অন্তত ২৬ জনের মৃতদেহ পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২৪
এমজে