পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সহিংস সংঘর্ষে চারজনের প্রাণ গেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১০০ জন।
আটা ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে শুক্রবার থেকে হাজার হাজার মানুষ সেখানে বিক্ষোভ করছেন। খবর বিবিসির।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ২৪ বিলিয়ন রুপি (৮৬ মিলিয়ন ডলার) ভর্তুকি দেওয়ার ঘোষণার একদিন পর মঙ্গলবার আয়োজকরা বিক্ষোভ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন।
আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া অধিকারকর্মীদের একজন শওকত নওয়াজ মির। তিনি বলেন, সরকার আমাদের সব দাবি মেনে নিয়েছে।
সহিংস সংঘর্ষে নিহতদের পরিবারকে সরকার যেন আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেয়, সেই দাবিও জানান শওকত মির।
সপ্তাহ শেষে সহিংসতা বাড়তে থাকে। এতে কর্তৃপক্ষ মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে দেয়। স্কুল, গণপরিবহন ও দোকানপাটও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সোমবার কর্তৃপক্ষ রেঞ্জার্স হিসেবে পরিচিত আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যদের আঞ্চলিক রাজধানী মুজাফফরাবাদে পাঠায়।
বিক্ষোভের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, দুই পক্ষই পরস্পরকে রড দিয়ে আঘাত করছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি ছোড়েন এবং তাদের দিকে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেন।
নিহত চারজনের একজন পুলিশ কর্মকর্তা, কর্তৃপক্ষ এমনটি বলছে।
পাকিস্তানের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বরাতে বার্তাসংস্থা এএফপি তাদের খবরে জানায়, নিহতদের মধ্যে অন্তত দুজন গুলির আঘাতে মারা গেছেন।
৩৭ বছর বয়সী দোকানি মুহাম্মদ কাসিম এএফপিকে বলেন, বিক্ষোভকারীদের ওপর (রেঞ্জার্সদের) গুলি করা উচিত হয়নি। আমরা আমাদের অধিকার চেয়েছিলাম, বিনিময়ে পেলাম গুলি।
বিক্ষোভের সূচনা করা জয়েন্ট আওয়ামি অ্যাকশন কমিটি নিহতদের সম্মানে মঙ্গলবারকে অন্ধকার দিন হিসেবে ঘোষণা করেছে।
পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীর আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। এতে আঞ্চলিক সরকার রয়েছে। ৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ রয়েছে।
দিল্লি ও ইসলামাবাদ উভয়ই পুরোপুরিভাবে হিমালয়ান অঞ্চলটির দাবি করে থাকে। এ দাবিতে ভারত-পাকিস্তান দুটি যুদ্ধসহ সীমিত সংঘাতে জড়িয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৪
আরএইচ