ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলে ইসরায়েলে সরকার ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি ২ মন্ত্রীর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৮ ঘণ্টা, জুন ২, ২০২৪
যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলে ইসরায়েলে সরকার ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি ২ মন্ত্রীর ইতামার বেন-গভির (বাঁয়ে), বেজালেল স্মোটরিচ যুক্তরাষ্ট্রের যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার গাজায় যুদ্ধবিরতির যে পরিকল্পনা দিয়েছেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তা মেনে নিলে পদত্যাগ এবং জোট সরকার ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির দুই উগ্র ডানপন্থী মন্ত্রী।  

অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচ ও জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির বলেছেন, হামাস ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আগে তারা যেকোনো চুক্তির বিরুদ্ধে।

খবর বিবিসির।

আর প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু যদি জো বাইডেনের পরিকল্পনায় সমর্থন দেন, সেক্ষেত্রে সরকারকে সমর্থন জানানোর অঙ্গীকার জানিয়েছেন বিরোধী নেতা ইয়ার লাপিড।

প্রধানমন্ত্রী অবশ্য নিজেই জোর দিয়ে জানালেন, হামাসের সামরিক বাহিনী, তাদের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা ধ্বংস এবং সব জিম্মিদের মুক্ত করা না পর্যন্ত স্থায়ী কোনো যুদ্ধবিরতি হবে না।

বাইডেনের তিন-অংশের প্রস্তাবটির শুরুতেই রয়েছে, ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি, গাজার জনবহুল এলাকাগুলো থেকে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) সেনাদের প্রত্যাহার। এটি সব জিম্মির মুক্তি, স্থায়ী শত্রুতার অবসান এবং ব্যাপকভাবে গাজা পুনর্নির্মাণ পরিকল্পনার দিকে পরিচালিত করবে।  

শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে স্মোটরিচ বলেন, হামাসের ধ্বংস এবং সব জিম্মিকে ফিরিয়ে আনা ছাড়া যুদ্ধ শেষের প্রস্তাবিত রূপরেখায় রাজি হওয়া সরকারের অংশ হবেন না বলে তিনি নেতানিয়াহুকে জানিয়ে দিয়েছেন।  

একই সুরে বেন-গভির বলেছেন, এ চুক্তির অর্থ হলো যুদ্ধের সমাপ্তি এবং হামাসের ধ্বংসের লক্ষ্য পরিত্যাগ করা। এটি  সন্ত্রাসবাদকে অধিষ্ঠিত করার অপরিণামদর্শী এক চুক্তি, যা ইসরায়েলের জন্য নিরাপত্তা হুমকি।  

প্রস্তাবে রাজি হওয়ার বিপরীতে তিনি সরকার ভেঙে দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।

এদিকে শনিবারও গাজার রাফায় যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। মিসর সীমান্তবর্তী শহরটি ইসরায়েলের বিমান হামলার খবরও পাওয়া গেছে।  গাজা সিটিতেও বোমা হামলা ও গোলাগুলি হয়েছে।

হামাস-শাসিত সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় ৩৬ হাজারেরও বেশি প্রাণহানি ঘটেছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের অস্ত্রধারীরা ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায়। এতে ইসরায়েলের প্রায় এক হাজার ২০০ লোকের প্রাণ যায়। হামাস ইসরায়েল থেকে ২৫২ জনকে জিম্মি করে। এরপর ইসরায়েল গাজায় হামলা শুরু করে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, জুন ২, ২০২৪
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।