ঢাকা, রবিবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৩ জুন ২০২৪, ১৫ জিলহজ ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

যুদ্ধবিরতির আলোচনায় ‘আলো’র দেখা নেই, গাজায় ইসরায়েলি হামলা চলছেই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৬ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০২৪
যুদ্ধবিরতির আলোচনায় ‘আলো’র দেখা নেই, গাজায় ইসরায়েলি হামলা চলছেই

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গাজায় আরও বিমান হামলা চালিয়েছে। যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময়ের নতুন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার মধ্যেই এসব হামলার ঘটনা ঘটল।

খবর আল জাজিরার।

রোববার রাতে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে। হামলা হয়েছে সম্প্রসারিত স্থল অভিযানের অধীনে থাকা রাফার বিভিন্ন স্থানে। পাশাপাশি খান ইউনিসেও ইসরায়েল হামলা হয়েছে।

দুই শহরে রাতভর ইসরায়েলের হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ১২ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা ওয়াফা।  

মধ্য গাজায় বুরেজি শরণার্থী শিবিরে বেশ কয়েকটি বিমান হামলায় অন্তত ছয়জনের প্রাণ গেছে। দুই কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নুসেইরাত শিবিরে হামলায় অন্তত চারজনের প্রাণ গেছে। আজ-জাওয়ায়দা অঞ্চলে হামলায় সাতজন নিহত হয়েছেন।
 
উত্তর গাজার জাবালিয়ায় ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের পরও মরদেহ উদ্ধারে কাজ চলছে বলে সোমবার জানিয়েছেন বেসামরিক প্রতিরক্ষা ক্রুরা। ২০ দিনের ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে অঞ্চলটির অধিকাংশ অঞ্চল ধ্বংস হয়ে গেছে। কয়েক ডজন মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
 
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধ শুরু করে। উপত্যকাটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৪৩৯ ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন ৮২ হাজার জন। কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি নিখোঁজ রয়েছেন।
 
সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক বাগাড়ম্বর ও আলোচনার মধ্যেই গাজায় ইসরায়েলের এসব হামলা হলো। যুদ্ধবিরতি নিয়ে তিন পর্যায়ের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, জিম্মি বিনিময়ের সঙ্গে সংঘাতের ইতি ঘটানো, গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার এবং যুদ্ধের পর গাজায় পুনর্নির্মাণ কার্যক্রম।  

হোয়াইট হাউস ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসকে বলেছে, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষিত পরিকল্পনায় সম্মত হলে ওয়াশিংটন আশা করে, ইসরাইলও তা মেনে নেবে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর এক সহকারী বলেছেন, ইসরায়েল প্রস্তাবটি মেনে নিয়েছে, তবে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার সরকারে থাকা বিরোধীদের সমর্থন পাচ্ছেন না।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত বলছেন, তিনি গাজায় হামাসের শাসনব্যবস্থার একটি কার্যকর বিকল্প দেখতে চান। ৮ জুনের মধ্যে নেতানিয়াহু যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনার বিষয়ে একটি চুক্তিতে না পৌঁছালে পদত্যাগ করার হুমকি দিয়েছেন যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভার সদস্য বেনি গান্তজ।  

জর্ডানের আম্মান থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক সারা খাইরাত বলেন, নেতানিয়াহুকে অতি-জাতীয়তাবাদী ও উগ্র ডানপন্থী মন্ত্রীরা বলে দিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি হলে তারা পদত্যাগ করবেন। এতে জোট সরকার ভেঙে যাবে। নেতানিয়াহুর ক্ষমতায় থাকতে জোট সরকার প্রয়োজন। আবার বিরোধী নেতা ইয়ার ল্যাপিড প্রস্তাব মেনে নিতে বলছেন। জিম্মিদের পরিবারগুলোও রাজি হতে বলছে। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এখন উভয় সংকটে পড়েছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০২৪
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।